ব-দ্বীপ কী? বাংলাদেশকে কেন ‘ব-দ্বীপ’ বলা হয়?

আসলে ব-দ্বীপ সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার জন্য আমাদের একটা বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার। ব-দ্বীপ শব্দটি আসলে গ্রিক ∆ (ডেলটা) এর থেকে এসেছে। ব-দ্বীপ সমুহকে ইংরেজীতে Delta বলা হয় কারন এর গঠন অনেকটা গ্রিক ∆ এর মতো। বাংলায় ব বর্ণটির সাথে ডেলটা এর মিল থাকায় বাংলায় ব-দ্বীপ নামটি প্রচলিত হয়।

এবার আসা যাক, ব-দ্বীপ কি সেই ব্যাপারে, ব-দীপ আসলে এমন একধরনের প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ত্রিকোণাকার ভূমি, যা নদীর মোহনায় (সমূদ্র নিকটবর্তী অঞ্চল) নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়। সহজ ভাষায় নদীর পানির সাথে ভেসে আসা পলি মাটি সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি অঞ্চলে জমা হয়ে যে ভূমি তৈরী করে তা ই ব-দ্বীপ।

আমাদের হিমালয় অববাহিকায় গঙ্গা(বাংলাদেশে পদ্মা) ও যমুনা, মেঘনা নদীর সহযোগে বঙ্গীয় ব-দ্বীপ গড়ে তুলেছে। প্রকারভেদ অনুসারে বঙ্গীয় ব-দ্বীপ ত্রিকোণাকার ব-দ্বীপ শ্রেনীর অন্তর্গত।

চিত্র: বঙ্গীয় ব-দ্বীপ (চিত্রঋণ: researchgare.net)

এই ব-দ্বীপের আয়তন প্রাহ ৭৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার তবে কারো কারো মতে তা ৮০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ, সুন্দরবন ব-দ্বীপ, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা ব-দ্বীপ এবং গ্রিন ডেলটা নামে পরিচিত।

বঙ্গীয় ব-দ্বীপের অধিকাংশ অংশ বাংলাদেশে অবস্থিত বলে এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূমি ব-দীপ ধরনের বলে বাংলাদেশকে ব-দ্বীপ ও বলা হয়।

সূএ ইন্টারনেট

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.