Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/sattacad/public_html/blog/wp-config.php on line 101
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় করনীয়, | স্যাট একাডেমী ব্লগ
Site icon স্যাট একাডেমী ব্লগ

গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় করনীয়,

 
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় করনীয়
লিখেছেন: সিনান শাওন
ইউরোলজি স্পেশিয়ালিস্ট
 

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভুগতে হয় এ সমস্যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে অনেকেই অনেক খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু তারপরেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন না। গ্যাস্ট্রিকের মূল কারণগুলো হলো এসিডিটি, হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া করা ইত্যাদি। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথার আরো কিছু কারণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং, কিডনিতে পাথর, আলসার ইত্যাদি।


আপনি একটু সতর্ক হলেই পেতে পারেন এ থেকে স্বস্তি:

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় সাথে সাথে আরাম পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে।

বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক চা যেমন সবুজ চা, পুদিনা চা, তুলসী চা এগুলো হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে।

তেঁতুল পাতা বাটা এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

প্রতিদিন অন্তত ৭ থেক ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান।

তাহলে পেটে গ্যাস জমবে না এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার থেকে মুক্তি মিলবে।

যারা আদা সরাসরি খেতে পারেন না তাঁরা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন।

ডাবের পানি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং সব খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আলু বেটে কিংবা ব্লেন্ডারে ব্ল্রেন্ড করে চিপে রস বের করে নিন।
 এবার এই রস প্রতিবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন।

মধু গ্যাস্ট্রিক সারাতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন।

যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।

প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরি মাঠা এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন।

ENO কিনে রাখুন ঘরে, বেশ কার্যকর।

অনেক ক্ষেত্রে কোমল পানীয়ও কাজে দেয়।

গ্যাস্টিক অনেক সময় বড় রোগের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে তাই প্রথম অবস্থাতেই এর সমাধান চিন্তা করুন। আর প্রাকৃতিক এইসব উপায়েই আপনি করতে পারেন এর প্রতিকার। তবে মনে রাখবেন অসুস্থতায় নিজের যত্নের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শেরও প্রয়োজন আছে।
সতর্কতাই রোগ থেকে বাচার প্রকৃত উপায়