Site icon স্যাট একাডেমী ব্লগ

নৈসর্গিক সুর্যদয়

নৈসর্গিক ইচ্ছার সামষ্টিক প্রেরনাকে কেন্দ্র করে যুগের পদচারনায় মানুষ প্রেমে পড়ে..।অতী সাবলীল  ভঙ্গিতে নিবেদন পূর্বক নিজস্ব রাজ্যের রানীর স্থান দিতে  প্রত্যয়  নানান কৌশলে প্রিয় মানুষ টা কে  সন্তুষ্ট রাখার নিমিত্তে চন্দ্র সূর্য তারা স্বাক্ষী রেখে প্রতিশ্রুতির পাল্লা ভারী করে।

প্রবাহমান সময়ের গতিতে পুরুষশাষিত সমাজে পুরুষের স্বপ্ন যেখানে  সুর্য থেকে চন্দ্র  পর্যন্ত  সেখানে   বিপরীতপক্ষের ব্যাক্তিটি গৃহসজ্জা আর রূপসজ্জা নিয়ে ।  ….

সময়ের দাবীতে  প্রেমিক যখন ক্যারিয়ারের প্রথম সিড়িতে পদার্পন করে তখনই তাহার বধু সাজিতে ইচ্ছা করে।  কখনো চোখের পানি কখনো অবিমানী কখনো তীরষ্কারের ছলে জীবন মন ভাঙার মায়াকান্নায় জড়িয়ে পড়ে রুপবতী নারী।  ক্যারিয়ার নিয়ে  যাহার মনোনিবেশ যাহার জব  সলুশন অথবা বিজনেশ গাইডে থাকার কথা তাহার মনোনিবেশ ইমু/হোয়াটসএপ/মেসেঞ্জার/লাইন/স্কাইপ  মনোনিবেশ  হয়েই থাকে। সমুদয় ফলপ্রসুর ইচ্ছায়  ক্যারিয়ার গল্প ভুলে গিয়ে প্রেমে মগ্ন হয়ে যায়।

ক্যারিয়ার যখন অর্ধপথে প্রতিশ্রুতি তখন সন্নিকটে।  ক্যারিয়ার সন্নিকটের প্রাক্কালে  প্রতিশ্রুতি রক্ষায়  মোহরানার   বাকী রাখিয়া কর্য করিয়া কোন রকম সেরোয়ানীর পরিবর্তে  পাঞ্জাবী পরিয়া  বর সেজে বধুর চাহিদায় মনোনিবেশ করে। আর  অনুনয় বিনয়  করে নিজেকে বুঝায় জীবন ত  একটাই বাচব-ই বা কতদিন ?

অজানা প্রশ্ন  রেখে শুরু করে  উলটো পথে চলা..

স্বপ্নের সিংহাসন ভুলে সাজায় নতুন   এক বাস্তবিক পরিক্ষাগার

সপ্নের নিজস্ব সিংহাসনে যেখানো রুপোর থালায় হরিণের  মাংশের বিরিয়ানীর  লোকমায়  দুজন ভাগাভাগী করার কথা সেখানে  আলাদা  ঘরে আলাদা  অর্ধপরিস্কার তামার  থালায়  পান্তাভাত কাচামরিচ  আর পেয়াজের স্বাদ নেওয়ার ফাকে নিজেকেই নিজেই প্রশ্ন করে এভাবে আর কত দিন?

এই পশ্নের  উত্তর ও অজানা?

বছর খানেক অতিক্রম করার  কালক্রমে নববধু যখন তন্ত:সত্তা শুরু হয় তখন তৃতীয়  বৃহত্তম স্বপ্নের  বলি দেওয়া

যেই সপ্নের  রাজ্যে অফিস ফেরত বরের কোর্ট টাই খুলে দিবে প্রিয়তম অন্ত:সত্তা স্ত্রী আর সস্তির নিশ্বাসের চুমু খাবে  কপালে সেই একই স্বপ্নের বিপরীতে মাথায় বোজা নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখে অন্ত:সত্তা স্ত্রী প্রখর রোদ্রে কলস কাখে বাড়ি।ফিরছে….

বছরান্তে যেখানে  ছেলে সন্তানের বাবা হোয়র প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি নিয়ে  গল্পচ্ছবি একেছে সেখানে  স্ত্রী রক্তশুন্যতা   মেয়ে সন্তানের জননী হয়ে বসে আছে । তারই বা দোষ কিসে?

এ প্রশ্নের উত্তর  ও তার অজানা

সৃষ্টিকর্তার সাথে অভিমান করতে করতে  বয়ে চলে দিন

রক্তশুন্যতা পরিপূর্ণ করার  লক্ষ্যে  ক্লিনিকে যাওয়া নিত্যব্যাস হয়ে ওঠেছে..  অঈদিকে পুষ্টিহীনতার যাতাকালে নিস্পেষিত হতভাগা স্ত্রীর পক্ষে সন্তান কে  পূর্ন  ভালোবাসা  প্রদানে ব্যার্থতার বদৌলতে  বাধ্য হয়েই কৃত্রিম দুগ্ধ করতে হিমসিম  খেয়ে আসছে …

পাঠকের  সুবিদার্থে   তিন ব্যাক্তিদের  কাল্পনিক নাম দিয়ে  দিলাম দিপু অপু ও টুনটুনি… নিশ্চই বুজতে পেরেছেন  কার নাম কি

টুনটুনির  যখন হাটতে শেখে    দিপু আর অপুর ভালবাসায় মগ্ন নেই——–(চলমান)

লেখকঃ মতিউর রহমান

—-(সংক্ষেপিত)