স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ কতগুলো সেক্টরে বিভক্ত ছিল?
১৯টি
৯টি
৮টি
১১টি
Description (বিবরণ) :
প্রশ্ন: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ কতগুলো সেক্টরে বিভক্ত ছিল?
ব্যাখ্যা:
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি। জানি আমাদের মুক্তির কথা, স্বাধীনতার কথা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ, মানে সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানকে যে কতগুলো সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, তাও জানো নিশ্চয়ই। যুদ্ধ করার জন্য পুরো দেশটাকে ১১টা ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এগুলোই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর। চলো আজ জেনে নিই কোন কোন জেলা নিয়ে কোন কোন সেক্টর গঠিত হয়েছিল এবং কারা ছিলেন কমান্ডার।
সেক্টর ১
ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী পর্যন্ত ছিল সেক্টর ১। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
সেক্টর ২
ঢাকা, ফরিদপুরের কিছু অংশ, নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে গঠিত হয়েছিল সেক্টর ২। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ ও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর হায়দার।
সেক্টর ৩
ঢাকার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা ছিল সেক্টর ৩ এর আওতায়। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর শফিউল্লাহ। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মেজর নুরুল্লাহ।
সেক্টর ৪
সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়েছিল সেক্টর ৪। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর সি এর দত্ত।
সেক্টর ৫
সেক্টর ৫ গঠিত হয় সিলেট জেলার অংশ বিশেষ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে। মেজর মীর শওকত আলী ছিলেন সেক্টর কমান্ডার।
সেক্টর ৬
রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহাকুমা নিয়ে গঠিত হয় সেক্টর ৬। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন ইউং কমান্ডার বাশার।
সেক্টর ৭
দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চল, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও রংপুরের কিছু অংশ ছিল এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
সেক্টর ৮
কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল সেক্টর ৭ এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর।
সেক্টর ৯
খুলনার কিছু অংশ, বরিশাল ও পটুয়াখালী নিয়ে গঠিত হয় সেক্টর ৯। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল ও তারপর মেজর জয়নাল আবেদীন।
সেক্টর ১০
এ সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ কমান্ডো, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও আভ্যন্তরীন নৌ - পরিবহন। এ সেক্টরে নৌ কমান্ডোরা যখন যে সেক্টরে মিশনে নিয়োজিত থাকতেন, তখন সে সেক্টরের কমান্ডারের নির্দেশে কাজ করতেন।
সেক্টর ১১
কিশোরগঞ্জ বাদে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে গঠিত হয় সেক্টর ১১। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু তাহের ও তারপর ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট এম হামিদুল্লাহ।
Related Question
'স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়' চরণটি কার রচনা?
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
মধুসূদন দত্ত
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
মুজিবনগরে কোন তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল?
২৬ মার্চ, ১৯৭১
১০ এপ্রিল, ১৯৭১
৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
১০ নভেম্বর, ১৯৭১
স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বাংলাদেশের কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
৯ টি
১০ টি
১১ টি
১২ টি
স্বাধীনতার আগে পাপুয়া নিউগিনি কোন দেশের অধীন ছিল?
ব্রিটেন
ফ্রান্স
অস্ট্রেলিয়া
নিউজিল্যান্ড
'স্বাধীনতা তুমি' কবিতাটি কে লিখেছেন?
সুফিয়া কামাল
নির্মলেন্দু গুণ
রফিক আজাদ
শামসুর রাহমান