মানুষের মস্তিষ্ক শরীরের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল অংশ। এর ব্যাপারে সকল তথ্য জানা সম্ভব নয়। তবে কিছু মজাদার তথ্য আজ আমরা জেনে নিতে পারি।
১. মস্তিষ্ক থেকে শরীরে রক্ত চলাচলের গতি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৭০ মাইল যার ফলেই আমর তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া দিতে পারি যদি মস্তিস্ক থেকে রক্তের গতি অনেক কম থাকে তাহলে তার আচরন অস্বাভাবিক থাকে। কারো ভালো লাগা, খারাপ লাগা, কষ্ট পাওয়া, খুশি হওয়া ইত্যাদি সব অনুভব আমরা খুব দ্রুত ব্যক্ত করতে পারি মস্তিস্ক থেকে রক্তের গতির কারনে।
২.বৈদ্যুতিক বাল্ব আমরা নিশ্চই চিনি। আমাদের ব্রেইন এর কার্যক্ষমতা প্রায় ১০ ওয়াট বাল্ব এর মতই। এর জন্যই বিভিন্ন কার্টুন মুভি এর ছবিতে দেখা যায় যখন সে চিন্তা করে তখন মাথার উপর একটি বাতি জ্বলে উঠে। কি খেয়াল করেছেন কি.?
একটা উদাহরন দেই আপনার সামনে অদ্ভুদ প্রানী চলে আসে। তখন খেয়াল করবেন আপনার শরীর শিউরে উঠেছে
কারন কি জানেন? তখন রক্তের গতি আরো বেড়ে গিয়ে অস্বাভাবিক হয়ে যায়। একজন মানূষ যখন ঘুমায় তখন তখন মস্তিকের সুইচ বলতে পারেন অফ থাকে।
৩. মানুষের মস্তিষ্ক অনেক তথ্য একসাথে প্রায় ৫ বার মনে রাখতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ৩ থেকে ১০০০ টেরাবাইট পর্যন্ত থাকে। মানুষের মস্তিস্কের জমাকৃত তথ্য সুস্থ্য অবস্থায় প্রক্রিয়া করে মস্তিস্কের অসুস্থ্যতায় এ তথ্য পুরোপুরি মুছে ও যেতে পারে।
৪. নিঃশ্বাসের সাথে নেওয়া অক্সিজেনের মাত্র ২০% আপনার মস্তিষ্ক ব্যাবহার করে। অথচ আমাদের শরীরের সম্পূর্ন ওজনের মধ্যে মাথা হচ্ছে মাত্র ২%। কিন্তু শরীরের বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের তুলনায় মস্তিষ্ক সব থেকে বেশি অক্সিজেন গ্রহন করে। তাই বিশুদ্ধ নি:স্বাসে মস্তিস্ক বেসি কার্যকর হয়। এ কারনে বিশুদ্ধ বায়ুতে বেড়ে ওঠা সন্তান গুলো একটু বেশি মেধাবী হয়।
৫. রাতে আমাদের মস্তিষ্ক আরও ভালো কাজ করে। আর তাই রাতেই মানুষ স্বপ্ন দেখে।
৬. যে বেশি স্বপ্ন দেখে তার মস্তিষ্ক তত বেশি কার্যকরী। গবেষণায় উঠে এসেছে তাদের আইকিউ বেশি হয়।অনেকেরই ২,৩ সেকেন্ড এর স্বপ্ন দেখা হয়। এগুলো মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে। তবে গবেষকগণ বলেছেন, “স্বপ্ন দেখা ভালো, তা বড় হক আর ছোট। কিন্তু তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা যাবেনা”।
৭. মানুষের জীবনের সাথে সাথে নিউরন ও বৃদ্ধি পায়। গবেষকরা প্রায় ৪ বছর ধরে ৩০ জন ব্যাক্তির ব্রেইন ও নিউরাল টিস্যুর উপর গবেষণা করে এই তথ্যটি জানতে পেরেছেন। নতুন নতুন তথ্য মস্তিষ্ককে বৃদ্ধি করে আর অসুস্থতা মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
৮. মস্তিষ্কের একেকটি নিউরন একেক গতিতে চলাচল করে। এদের এক একটির স্পীড এক এক রকম। এদের কোনটি ০.৫ মিটার/ সেকেন্ড এ চলাচল করে। আবার কোনটি ১২০ মিটার/সেকেন্ড এ চলাচল করে। কোনটি আবার কিচ্ছুক্ষন স্থির থাকে।
৯. । মস্তিষ্ক অনেকগুলো টিস্যু, নার্ভ ও রক্ত দ্বারা বেষ্টিত। মস্তিষ্ক নিজে কোন ব্যথা অনুভব করে না। হাত, পা বা শরীরের কোন অঙ্গে কেটে গেলে বা ব্যথা পেলে মস্তিষ্ক তা অনুভব করে।
১০. আমাদের ব্রেইন এর ৮০ ভাগই পানি। ব্রেইন দেখতে অনেকটা জেলির মত গোলাপি রং এর। যাতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও রক্তের তৈরি টিস্যু জালিকা রয়েছে। তাই যখনই আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন তখনি পানি খেয়ে নিবেনতাই গবেষকগণ মাইগ্রেনের রোগীদের বেশি করে পানি পান করতে বলেন।
১১.মস্তিস্কের নির্দেশেই দেহের বিচরণ হয়। তাই অনেক সময় মানুষ ঘুম থেকে উঠে পায়চারি করে। অথচ সেটা মস্তিকে জমা থাকে না। মানুষ ঘুম থেকে উঠে জানেই না। সে রাতে পায়চারি করেছিল। এবং কেউ বললে ও সে বিশ্বাস করে না
আজ এ পর্যন্তই যেকোনো বিষয় নিয়ে জানতে কমেন্ট করুন।
লেখা পাঠিয়েছেন: সিনান আহমেদ