Warning: Constant DISALLOW_FILE_EDIT already defined in /home/sattacad/public_html/blog/wp-config.php on line 101
গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৪। প্রথম ১০০ দিন শিখবো দক্ষ ফ্রিলান্সার হবো। শেয়ার করবো। | স্যাট একাডেমী ব্লগ
Site icon স্যাট একাডেমী ব্লগ

গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল পর্ব-১৪। প্রথম ১০০ দিন শিখবো দক্ষ ফ্রিলান্সার হবো। শেয়ার করবো।

প্রথম ১০০ দিন শুধু শিখবো দক্ষ ফ্রিলান্সার হবো। গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়ালের-১৪তম পর্বে সবাইকে স্বাগতম, আশা করি গত পর্বের টিউটোরিয়াল গুলো বুঝতে পেরেছেন । কোন অংশে বুঝতে না পারলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। চলুন শুরু করি ১০০ দিনের আজকের পর্ব–১৪

ফটোশপে এনিমেটেড জিফ ফাইল তৈরী

ওয়েব পেজে স্থির ছবির তুলনায় নড়াচড়া করা ছবি বেশি দৃষ্টি আকর্ষন করে। যারা ওয়েব পেজে বিজ্ঞাপন দেন তাদের কাছেও সেকারনেই এনিমেটেড বিজ্ঞাপন বেশি পছন্দ। ওয়েবে দুধরনের এনিমেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, ফ্লাশ ভিত্তিক এবং এনিমেটেড জিফ। ফ্লাশ এনিমেশনের জন্য ব্যবহার করবেন ফ্লাশ অথবা অন্য এনিমেশন সফটঅয়্যার। কাজ করতে হবে এনিমেশনের যে নিয়ম সেই নিয়মেই। আর জিফ এনিমেশন তৈরী করে নিতে পারেন ফটোশপেই।

জিফ এনিমেশন কি

সাধারন JPG, JPEG ইমেজ ফরম্যাটের মত জিফ (GIF) ইমেজ ফরম্যাটও নিশ্চয়ই দেখেছেন। এনিমেটেড জিফ বিশেষ ধরনের জিফ ফাইল যেখানে ভিডিও ফাইলের মত একাধিক ফ্রেম থাকে। এই ফ্রেমগুলিতে যাকিছু পরিবর্তন থাকবে জিফ এনিমেশন দেখার সময় তাকেই চলমান ভিডিও বা এনিমেশন মনে হবে।

ফটোশপে কাজটি করার সাধারন ধারনা হচ্ছে, একেকটি ফ্রেমকে একেটি লেয়ারে রাখবেন। এক লেয়ার থেকে আরেক লেয়ারের জন্য টুইন কমান্ড ব্যবহার করবেন (যেমন টেক্সট এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় সরে যাওয়া, কিংবা রং পরিবর্তন হওয়া)। এরপর তাকে সেভ করবেন এনিমেটেড জিফ হিসেবে। একাজে সহায়তা করার জন্য এনিমেশন প্যানেল (টাইমলাইন) নামে বিশেষ ব্যবস্থা। একে ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশনের টাইমলাইনের সাথে তুলনা করতে পারেন।

ওয়ার্কস্পেস

ফটোশপে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ইউজার ইন্টারফেসকে বিভিন্নরকমভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। এনিমেশন কাজের জন্য মোশান ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করলে কাজ করা সহজ হবে।

এনিমেশন তৈরী

এখানে একটি এনিমেটেড টেক্সট বাটন তৈরী করা দেখানো হচ্ছে যা নির্দিষ্ট সময় পরপর রং পরিবর্তণ করবে। হলুদ এবং লাল রয়ের এই নেক্সট বাটন তৈরীর জন্য যা করবেন;

এনিমেশনের দৈর্ঘ্য ঠিক করুন

কোন লেয়ার কখন দেখা যাবে ঠিক করুন

এনিমেট করুন

এনিমেশন প্লে করে দেখুন

এনিমেটেশন ফাইল তৈরী করুন

আপনার এনিমেশন কতটা ভাল হবে নির্ভর করে আপনার লেয়ারগুলির ওপর।

আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম, কিন্তু একেবারেই শেষ করছি না আসছি আগামী পর্বে আবারো নতুন গুরুত্বপূর্ণ  টিউটোরিয়াল নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই।

পূর্বের টিউটোরিয়াল পড়তে ক্লিক করুন :