শুধু বাংলায় নয় বরং স্বয়ং মিশরীয়রাই তাদের দেশকে “মিশর” বলে ডাকে। এটিই এই দেশটির আসল নাম।
নীলনদের তীরে অবস্থিত এই সুপ্রাচীন দেশটির কালে কালে অনেক নামই ছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা তাদের দেশকে “কেমেট” নামকরণ করেছিল। “কেমেট” শব্দটির অর্থ হলো কালো মাটি। এই নামকরণের পেছনের কারণটা হলো মিশরের পাশ ঘেঁষে চলা নীলনদের তীরের মাটি ছিল কালো। কিন্তু পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় দেশটির নাম হয়ে যায় “মিশর”। মজার বিষয় হলো “মিশর” শব্দের অর্থই হলো দেশ। অর্থাৎ মিশরীয়রা তাদের দেশকে “দেশ” নামেই ডাকে।
এবার আসি ইজিপ্ট (Egypt) প্রসঙ্গে। প্রাচীন গ্রীকরা নীলনদের তীরে অবস্থিত এই দেশটির নাম দিয়েছিল Aegyptos. এটাই পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় Egypt-এ পরিণত হয়েছে। ইংরেজিতে মিশরকে ইজিপ্ট বলার পেছনে যে কারণটা কাজ করেছে সেটা হলো তারা গ্রীক ভাষার অনেক শব্দই নিজেদের ভাষায় নিয়ে নিয়েছে যার মধ্যে Egypt শব্দটাও ছিল। এরপর তারা আর পরিশ্রম করে নামটা কোনোরূপ পরিবর্তন না করেই তাদের শব্দভান্ডারে সংযুক্ত করে নিয়েছে।এজন্য ‘মিশর’ যখন কয়েকটা জাতির জন্য ‘মিশর’ সেখানে বাকি সবগুলো জাতির কাছে সে Egypt.
সূএ ইন্টারনেট