প্রতিদিন ২//১ ঘন্টা সময় নষ্ট করলে আমাদের কাজের সময়ের ২৮ শতাংশ অপচয় হয়। একটি কাজ থেকে সরে গেলে ২০ মিনিট সময় অপচয় হয়। মূল কথা হলো প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করাটাই কর্মক্ষেত্রে বেশি কাজ করার মূল রহস্য। আমরা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার কথা চিন্তা করি, কিন্তু কাজের অগ্রগতি সফলতা নিয়ে ভাবি না। আর আমরা বিস্মিত হয়ে সম্পু স্বল্পতার কথা চিন্তা করি। যুগ যুগ ধরে চলে আসা অনিয়মগুলোর দিকে খেয়াল করি না।
মনোবিজ্ঞানী গেই হেনড্রিক্স তার একটি বইতে ‘সময় তৈরি/সময় সৃষ্টির’ করার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আসলে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার মূল উপায়টি হচ্ছে গুরুত্ব অনুসারে কাজ করা। যে কাজগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে কাজগুলো আগে করতে হবে। যখন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করবেন তখন অন্য কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে বেশি কাজ করার মূল রহস্যঃ
ই-মেইল অফ করে রাখা। পাশাপাশি ই-মেইল আসার সাথে সাথে যে নির্দেশনা এবং শব্দ তৈরি হয় সেগুলোও বন্ধ করে রাখা।
মোবাইল ফোনটাকে মিউট-সাইলেন্ট করে রাখা।
অফিসের দরজা বন্ধ করে রাখা।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগকে সীমিত করে দেয়া।
দিনের অল্প সময়ের জন্য যে মিটিংগুলো ডাকা হয় সেগুলোতে গিয়ে অথযা সময় নষ্ট না করে পাশে বসে ছোটখাটো কাজ সেরে নেয়া।
অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতা থেকে যথা সম্ভব নিজেকে বিরত রাখা।
প্রতিক্রীয়াশীল না হয়ে ক্রীয়াশীল হোন।
এক্ষেত্রে আপনি স্টিফেন কভি এর ‘জরুরি বনাম গুরুত্বপূর্ণ’ পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত আমরা অন্যের জরুরী বিষয়ের কথা শুনলেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রীয়াশীল হয়ে ওঠি এবং সেগুলো সমাধান করার জন্য উঠে পড়ে লাগি।
আসলে আর এমন কি কাজ আছে যেগুলো জরুরী বলে মনে হয়? ই-মেইল, ফোন কল, অন্য লোকের জরুরী কাজ। কিন্তু যদি আপনি চাকরি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে নিজের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর অন্যের জরুরী বিষয়টি দেখবেন।
পরিবর্তন নিজের ইচ্ছার মধ্যে বিদ্যমান, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমেই হতে পারে সামগ্রিক অগ্রগতি।