বছরের শেষের দিকে এসে প্রতিবারই নিজের পছন্দের বইয়ের তালিকা জানান বিল গেটস। এবার এই তালিকার পাঁচটি বই সবাইকে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে মাইক্রোসফট চালু করতে গিয়ে হার্ভার্ড থেকে ঝরে পড়েন গেটস।
বর্তমানে তিনি পৃথিবীর শীর্ষ দানশীল ব্যক্তি এবং দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। ফোর্বস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতি বছর বিল গেটস প্রায় ৫০টি বই পড়ার সময় পান। এরপর নিজের পছন্দের বইগুলোর তালিকা প্রকাশ করেন এবং অন্যদের পড়ার পরামর্শ দেন। এবার বিল গেটস যে বইগুলো পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন-
টারা ওয়েস্টওভারের ‘এডুকেটেড’
প্রকাশিত গ্রন্থটিতে নিজের চলমান স্মৃতিকথা তুলে ধরেছেন টারা ওয়েস্টওভার। বইটি সম্পর্কে ব্লগে বিল গেটস লিখেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি, এমন পরিবারে বেড়ে ওঠা একজন মানুষের জীবনের সঙ্গে পরিচিত হবো। তিনি একজন ভালো লেখক। বইটিতে যখন আমি তাঁর শৈশব সম্পর্কে পড়ছিলাম বিষয়টি আমার মনে গভীরভাবে প্রতিফলিত হচ্ছিল।
পল শেয়ারির ‘আর্মি অব নান’
এই বইয়ে মূলত যুদ্ধে ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বইটি সম্পর্কে গেটস বলেন, এটা খুব জটিল বিষয়। কিন্তু শেয়ারি এর পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং খুঁটিনাটি সবকিছু তুলে ধরেছেন।
জন ক্যারেরিউয়ের ‘ব্যাড ব্লাড’
এই বইয়ে পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক জন ক্যারেরিউ মাল্টিবিলিয়ন ডলারের বায়োটেক ফার্ম থেরানস’র উত্থান-পতনের ভেতরের গল্প উপস্থাপন করেছেন। ‘ব্যাড ব্লাড’ নিউ ইয়র্ক টাইমসের তালিকা অনুযায়ী বেস্ট সেলার গ্রন্থ এবং এটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। বইটি সম্পর্কে বিল গেটস জানান, আমি যতটা আশা করেছিলাম তার চেয়েও এই গল্পটা ভালো। বইটা পড়তে শুরু করার পর এটা আমি কখনও রাখতেই পারছিলাম না।
ইউভাল নোয়াহ হারিরির ‘টুয়েন্টি-ওয়ান লেসনস ফর দ্য টুয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি’
গত আগস্টে প্রকাশিত বইটিতে ২১ শতকের চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই বই সম্পর্কে বিল গেটস লিখেছেন, হারারি যা লিখেছেন তার সবকিছুরই বড় একজন ফ্যান আমি। তাঁর এই বইটিও এর ব্যতিক্রম নয়। এতে পৃথিবীর অতীত ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে নজর দেয়া হয়েছে। বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করছি সে সম্পর্কে চিন্তার একটি সহায়ক কাঠামো হিসেবে অনেক কাজে আসবে এই বই।
অ্যান্ডি পুডিকমবির ‘দ্য হেডস্পেস গাইড টু মেডিটেশন অ্যান্ড মাইন্ডফুলনেস’
দিনে মাত্র ১০ মিনিটের মেডিটেশনে যে অনেক উপকার পাওয়া যাবে বইটি পাঠে সে বিষয়ে জানা যাবে। ‘হেডস্পেস’ নামের প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা লেখক অ্যান্ডি পুডিকমবি মেডিটেশন ও মনোসংযোগ চর্চার সহজ ও কার্যকর কৌশলগুলো সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। বইটি সম্পর্কে গেটস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হওয়া পর্যন্ত পুডিকমবি কীভাবে মেডিটেশন করেছেন এবং কীভাবে সঠিকভাবে মেডিটেশন করতে হয় তার ব্যাখ্যা করেছেন বইটিতে।