মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন কী?

চতুর্দশপদী কবিতা

চর্যাপদ

ছোটগল্প

মঙ্গলকাব্য


Description (বিবরণ) :

প্রশ্ন: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন কী?

ব্যাখ্যা:

মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা। দেবমাহাত্ম্যমূলক সমাজচিত্রভিত্তিক এ কাব্যই বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য। এ কাব্য পাঠ বা শ্রবণ করলে সকল প্রকার অকল্যাণ নাশ ও সর্ববিধ মঙ্গল লাভ হয় এরূপ ধারণা থেকেই এর নাম হয়েছে মঙ্গলকাব্য। মঙ্গলকাব্য পালা হিসেবে গীত হতো, তবে এতে সুর অপেক্ষা কাহিনীই বেশি প্রাধান্য পেত।

প্রতিটি মঙ্গলকাব্যে একেকজন দেবতার মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এঁরা লৌকিক দেবতার সঙ্গে পৌরাণিক দেবতার সংমিশ্রণে সৃষ্ট বাঙালির নিজস্ব দেবতা। বহিরাগত আর্যদেবতাদের বিরুদ্ধে অনেক সংগ্রাম করে এঁদেরকে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হয়েছে। আর্যদেবতাদের বিরুদ্ধে এই বিজয়ের কারণে মঙ্গলকাব্যের ‘মঙ্গল’ শব্দটি ‘বিজয়’ অর্থেও গ্রহণ করা হয়। এমনকি কোনো কোনো মঙ্গলকাব্যের নামের সঙ্গে ‘বিজয়’ শব্দটি সংযুক্তও হয়েছে, যেমন বিপ্রদাস পিপিলাইয়ের মনসাবিজয়।

মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন মনসা, চন্ডীধর্মঠাকুর। এঁদের মধ্যে মনসা ও চন্ডী এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি। এই তিনজনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলকাব্যের প্রধান তিনটি ধারা গড়ে উঠেছে মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল। কালক্রমে শিবঠাকুরও মঙ্গলকাব্যের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং তৎকেন্দ্রিক কাব্যধারার নাম শিবায়ন বা শিবমঙ্গল।


Related Question

মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্য রচনায় কোন মুসলিম শাসকের গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রয়েছে?

নাসির উদ্দিন শাহ

মুর্শিদ কুলি খান

শাহ সুজা

আলাউদ্দিন হুসেন শাহ

মধ্যযুগের প্রথম কাব্য কোনটি?

শুন্যপুরান

ডাকার্নব

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

গীতগোবিন্দ

মধ্যযুগের কবি নন কে?

জয়নন্দী

বড়ু চণ্ডীদাস

গোবিন্দ দাস

জ্ঞান দাস

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্মপ্রচারক -এর প্রভাব অপরিসীম?

শ্রীচৈতন্যদেব

শ্রীকৃষ্ণ

আদিনাথ

মনোহর দাশ

মধ্যযুগের প্রথম কাব্য “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন”-এর রচিয়তা কে?

চন্ডীদাস

দ্বিজ চন্ডীদাস

বড়ু চন্ডীদাস

দীন চন্ডীদাস