ছবি তোলার পর মনে হয়েছে আমি সুইজাল্যান্ডে…

রাজশাহী, প্রতিনিধি, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আপনি হয়ত মনে করবেন এটা ভারত, কাশ্মীর, সিকিম, সাইবেরিয়া অথবা সুইজারল্যান্ডের কোনো শহরের তুষার আবৃত সড়ক। এটা মনে করলে ভুল করবেন। এই ছবিটি তোলা হয়েছে রাজশাহী শহর থেকে ।

ছবিটি তোলা হয়েছে, রাজশাহী পুঠিয়া শোহর থেকে ১৭ ফেব্রিয়ারী ২০১৯ সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে

অনেকেই মনে করবেন এটি তুষারপাতের ছবি । বসন্তের দিনে আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার গ্রামের (মধুখালি) সড়কে এরকম শিলা দেখা যায় ভোর বেলা। ভোরের শীলাবৃষ্টির এটাই বাহ্যিক প্রকাশ।

গত রোববার ভোরের সূর্য উঁকি দেওয়ার আগেই রাজশাহীতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়।
আমের মুকুলসহ নানান রকম ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির আঘাতে রাজশাহীর পুঠিয়া, বাঘা উপজেলার বেশ কয়েটি একালার ফসল ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আমের মুকুল ঝরে পড়েছে। তবে টাকার অংকে এ ক্ষতির পরিমান জানা না গেলে ও ব্যবসায়ীদের মনের অবস্থা খুবই করুন।

পুঠিয়া রাজবাড়ী এলাকার শীমুল হোসেন (৬৭) ও বানেশ্বর এলাকার রত্না খানম (২৪) স্যাট নিউজ কে জানান, শিলার আঘাতে আমের মুকুল, ভুট্টা, বরই, পেঁয়াজ, পেপে টমেটো বেগুন ও আলুসহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারা আরো বলেন তারা পূর্বে কখনো এরকম শিলাবৃষ্টি দেখেন নি ।

রাজশাহী কাটাখালি অঞ্চল মিলন আহমেদ(২৫) জানান এর ক্ষতি অপূরনীয়। এটা বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিবর্তনের এক নমুনা। আম গাছে মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল তার অধিকাংশই স্থান পেয়েছে গাছের নিচে অবহেলিত অবস্থায় ,

তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, এখন যে পরিমান মুকুল আছে তা ফলনে তেমন খারাপ প্রভাব ফেলবে না ।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয় ভোর ৪টা ৪০ মিনিট থেকে ৫টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত এই শিলাবৃষ্টি স্থায়ী ছিল। এসময় ৩৮ মিনিটে রাজশাহীত গড়ে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবারও এ ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারনা করেছেন এই কর্মকর্তা

ছবিতে যাদের দেখতে পারছেন তারা বলেন, ছবি তোলার পর মনে হয়েছে আমি সুইজাল্যান্ডে…

সুত্রঃ স্যাট নিউজ
রাজশাহী দৈনিক প্রতিনিধিঃ মতিউর রহমান

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.