অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানুন
ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড একটি কয়েকশো বছরের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মেধাবীদের মিলনমেলা ঘটে এখানে। অক্সফোর্ডের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এখানেই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম লাইব্রেরী অবস্থিত (১৯০ কিমি ব্যাপী বইয়ের শেলফ)। এখান থেকেই প্রকাশিত হয় বিখ্যাত অক্সফোর্ড ডিকশনারি। সবচেয়ে বড় কথা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৮ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ২০১০ সালে হাউস অব লর্ডসের ১৪০ জন সদস্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিখ্যাত ছাত্র ও শিক্ষক: প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়াশোনা করেছেন শত শত বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। যাদের মধ্যে চার ইংরেজ রাজা, আটজন বিদেশী প্রধানমন্ত্রী, ৪৭ জন নোবেল বিজয়ী (ছাত্র-শিক্ষক উভয়), ২৫ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ২৮ জন বিদেশী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। তবে অক্সফোর্ডের বিখ্যাতদের কথা বলতে গেলে স্টিফেন হকিংস, বিল ক্লিনটন, অস্কার ওয়াইল্ড, মার্গারেট থ্যাচার এবং টিম বার্নার্স-লি নাম না বললেই নয়।
ভর্তি প্রক্রিয়া: অন্যান্য ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো অক্সফোর্ডেও ‘ইউসিএএস’ পদ্ধতিতে আগ্রহীদেরকে আবেদন করতে হয়। প্রত্যেক আবেদনকারীকে পৃথক পৃথক কলেজের জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্যরা তাদের মেধা অনুযায়ী কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। যদিও বিষয়ভিত্তিক মোট আবেদনের ৬০% বাদ পড়ে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অক্সফোর্ডে সাধারণত স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি এর জন্যেই বেশি আবেদন করে থাকেন। তবে অক্সফোর্ডে আবেদনের জন্য ‘আইইএলটিএস’ এ ভালো স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া অক্সফোর্ডে কয়েকশো রকমের বৃত্তি রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মাধ্যমে অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করতে পারে। সাধারণত স্নাতকের ফলাফল ভালো থাকলে কমনওয়েলথ স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি দিয়ে থাকে। এছাড়া আরো একটি প্রচলিত মাধ্যম হল অক্সফোর্ডের শিক্ষকদেরকে ই-মেইল পাঠানো। এতে করে ওইসব শিক্ষকরা রাজি হলে শিক্ষার্থীদেরকে তারা তাদের নিজস্ব ফান্ড থেকে পড়াশোনার খরচ দিয়ে থাকেন। তবে শুধু অক্সফোর্ডই নয়, ইংল্যান্ডের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই স্নাতক পড়তে চাইলে বড় অংকের টিউশন ফি লাগবে।