চাকরি
বাঁচার পথ খুজছি,
চাকরির অন্বেষায় হারা হয়ে ছুটে চলি দিকবিদিক,
আমি বি,এ পাশ, বেকার,
বাবার থলে থেকে প্রেমিকার লিপিস্টিক কিনি,
এর মধ্যেই তিন/চারটা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে
বাবা বলেছেন, “আগে ছেলে একটা চাকরি পাক, তারপর বিয়ে ধুমধাম”
চার বছর আগে বিদায় নেয়া প্রেমিকা এখন সন্তানের জননী,
আমার বাবা ডাক শোনা হয়ে উঠেনি,আর কাঙালিনী মেয়েটা…
আদর তার বাবার ব্যবসা দেখছে
আমরা সমবয়সী
তার পিচ্চি মেয়েটা যখন আমাকে কাকু বলে ডাকে,
বুকের কোথায় যেন শুণ্যতা বিরাজ করে।
আম্মারের দাদা মুক্তিযোদ্ধা,
চাকরি তাকে ডেকে নিয়েছে…
লাজুক নামের ছেলেটা, ওর বাবা সরকারি চাকুরে,
বেচারা বাবার হাল ধরেছে।
পাড়ার যে ছেলেটা মাস্টারের পিটুনি খেয়ে ইন্টার পাস করেছে
সেও এখন দলীয় কোটায় সরকারী প্রাইমারীর পিয়ন।
বাপ-দাদার উপর খুব রাগ জন্মায়,
যে কোনো একটা কোটা হলেও চলত।
সেদিন রেবেকা তার ছোট্ট বেবীরে নিয়ে রিক্সায় যাচ্ছিল,
আমি ১০ টাকা বাঁচানোর প্রয়সে হেঁটে যাচ্ছি
রিক্সা থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, চাকরি হয়েছে আজো?
আমি “না” সুচক মাথা নাড়তেই বলল,
আমার ওকে বলে দেখব, অফিসের কোন চাকরি হয়ত জুটিয়ে দেবে…
এই সেই আমার প্রথম প্রেমিকা।
মনে মনে বললুম, একটা চাকরি হলে খারাপ কি
হোক সে পিয়নের, একটা বিয়ে আন্তত হবে।।
আমি আনত মাথা নেড়ে বললুম, হু।
#এইচ,আর