অস্বস্তির আরেক নাম গ্লোবাস ফেরিনজিস।

ঢোক গিলতে গেলে সমস্যা অনেকেই অনুভব করেন। অনেক সময় এটাকে অস্বস্তি বলে মনে হয়। কিন্তু চিকিৎসা নিতে গেলে প্রথম প্রথম চিকিৎসকও নরমাল ঠাণ্ডা লাগার ওষুধ দেন। ওষুধের লিস্টটা আনলেও মনে খচখচানি থেকে যায় আসলে এটা কি বড় সমস্যা নাকি ছোঠখাটো!

কারণঃ সাধারণত দুটি কারণে এমনটি হয়। প্রথমটি হচ্ছে পাকস্থলির খাবারও এর এসিড নিচে না নেমে উল্টোদিকে বা উপরে উঠে আসলে, একে রিফ্লাক্স বলে। এটি দিনে বা রাতে, খাবার খেলে বা না খেলেও হতে পারে। স্বরযন্ত্র বা গলায় রিফ্লাক্সে এমনটি হয়। এদের সবার বুকজ্বালা নাও থাকতে পারে।

যাদের গলায় চাকার মতো বোধ হয় বা কিছু চেপে আছে বলে মনে হয় তাদের এ সমস্যাকে গ্লোবাস ফেরিনজিস বলে। এটি আসলে ক্যান্সার নয়।

কী করবেন : এ রোগীদের বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নিতে হয়। প্রোটন পাম্প ইনজিবিটর বা গ্যাস্টিকের ওষুধ খেলে অনেক রোগী আরামবোধ করেন। যাদের ওষুধে কাজ হয় না তাদের এনটি রিফ্লাক্স সার্জারি করতে হয়। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে যাতে রিফ্লাক্স বা বুকজ্বালা না হয়।

  • পরামর্শ:
  • এ রোগীরা ধূমপান বর্জন করবেন।
  • খুব বেশি টাইট জামা কাপড় পড়বেন না।
  • খাওয়ার পরপরই না শুয়ে থাকবেন না।
  • খাওয়ার  সাথে সাথে পানি পান  করবেন না।
  • পনির, চকলেট, পেস্ট্রি বর্জন  করুন।
  • ভাজা-পোড়া কম খাবেন।
  • লেবু জাতীয় পানীয় পান  করেবন না।
  • উত্তেজক পানীয় (মদ) না খাওয়া।
  •  শারীরিক ওজন বেশি হলে কমিয়ে ফেলা।

স্যাট একাডেমি ব্লগে পাবলিশ এর জন্য আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে আমাদের ইমেইল করুন info@sattit.com

অথবা এখানে ক্লিক করে সরাসরি পোস্ট করুন। আপনার লেখা রিভিউ শেষে পাবলিশ করা হবে।

লেখাটি পাঠিয়েছেনঃ রত্না আহমেদ

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.