রোজার প্রকারেভদ ও কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম

রোজার প্রকারভেদ
উত্তর : রোজা ইসলামের একটি স্তমভের অন্যতম। ইসলামের প্রতিটি ক্ষেত্রে পালন করতে হয় নির্দিষ্ট কতগুলু নিয়মকানুন। সঠিকভাবে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য প্রতিটি বিষয়েই জানা জরুরী। আসুন জেনে নেই রোজার প্রকারভেদ ও তা কি কি?

রোজার প্রকারভেদ: ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল , মুস্তাহাব, মাকরুহ , হারাম

ফরজ রোজাঃ

  • পবিত্র রমজানের এক মাস রোজা হচ্ছে ফরজ রোজা।

ওয়াজিব রোজাঃ

  • মানতের রোজা,
  • নফল রোজার কাজা,
  • যা শুরু করার পর ফাসিদ (ভঙ্গ) হয়ে গিয়েছিল, বিভিন্ন কাফফারার রোজা।

সুন্নত ও রোজাঃ

  • পবিত্র আশুরা মিনাল মুহররম (১০ মহররম) উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা। অর্থাৎ ৯-১০ অথবা ১০-১১ তারিখে রোজা রাখা।
  • প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখা।
  • শাবান মাসে বেশী রোজা রাখা।
  • শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা।
  • জিলহজ মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোজা।
  • প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখা।
  • প্রতি সপ্তাহের ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজিম তথা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখা।
  • যে পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ সে পাঁচ দিন ব্যতীত অন্য যে কোনো দিন রোজা রাখা।
  • দাউদি রোজা অর্থাৎ প্রতি একদিন পরপর রোজা রাখা।
  • অবিবাহিত যুবকদের রোজা । যারা বিয়ে করতে পারছে না এবং পাপ হতে বাঁচার জন্য রোজা রাখছে ।

যেসকল রোজা মাকরুহঃ

  • ইয়াওমুস সক অর্থাৎ চাঁদের ৩০ তারিখ দিনে রোজা রাখা সাধারণভাবে মাকরুহ।
  • এছাড়া আশুরা উপলক্ষে একদিন রোজা রাখা।
  • শুধু জুম্মাবার রোজা রাখা।
  • শুধু শনিবার রোজা রাখা।
  • সন্দেহের দিন রোজা রাখা।

রোজা রাখা হারামঃ

  • পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন।
  • পবিত্র ঈদুল আজহার দিন।
  • ঈদুল আজহার দিনের পরবর্তী তিন দিন (১১, ১২, ১৩ জিলহজ তারিখে) রোজা রাখা হারাম।
  •  সেহরি-ইফতার না করে টানা রোজা রাখা
  • স্বামীর অনুমতি ব্যতীত তার উপস্থিতিতে স্ত্রীর নফল রোজা রাখা
  • প্রতিদিন রোজা রাখা রোজার প্রকারভেদ, ও নিষিদ্ধ রোজা

সুত্রঃ স্যাট নিউজ
সংগ্রহে ঃ মতিউর রহমান

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.