সাইবার সিকিউরিটি কি, কিভাবে শিখব?

সাইবার অপরাধ তথা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ দৈনন্দিন বেড়েই চলছে। এখন বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। সাম্প্রতিক ইন্টারন্টে এর সহজ প্রাপ্যতা ও মূল্যবোধহীনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রমাগত অপরাধ বেড়েই চলছে। বেড়েই ইন্টারনেটে হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা ছাড়াও হ্যাকারদের দখলে চলে যাচ্ছে অনলাইন এ্যাকাউন্ট, ই-মেইল, ওয়েবসাইট। সাইবার ক্রাইমের মধ্যে রয়েছে প্রতারণা, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি, ব্ল্যাকমেইল, পর্ণোগ্রাফি, হয়রানি, হুমকি দান, সাম্প্রদায়িক উস্কানি প্রভৃতি। সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, সামাজিকভাবে হেনস্তা হওয়া, সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি, এসবের সাথে প্রাণনাশের নজিরও রয়েছে।

আসুন সাইবারা ক্রাইম কত প্রকার জেনে নিই।

সাইবার সন্ত্রাস প্রধানত দুইভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে

১। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অবকাঠামোকে সরাসরি আক্রমণ।
২। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতি স্বাধণ।

যে ধরণের অপরাধ এদের দ্বার সংগঠিত হয়

• ভাইরাস সম্প্রসারনের মাধ্যমে আক্রমণ করে থাকে,এবং আক্রমনের মাত্রা কমান্বয়ে বাড়তেই থাকে।

• ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে হয়রানী করে থাকে।

• মেলওয়্যার স্পামিং বা জাঙ্ক ও ভুয়া আইডি/ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম-ঠিকানা, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার এমনকি ফোন নাম্বার নিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করবে অপরাধী চক্র। এবং পরবর্তীতে সকল তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে।

• ইমেইল বা ব্লগ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে হুমকি মুলক দেয়া, চাদা দাবী ও ব্যক্তির নামে মিথ্যাচার/অপপ্রচার,নারী অবমাননা, যৌন হয়রানি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও নানান ধরণের মিথ্যা ও তৈরীকৃত অশালীন ভিডীও আপলোড করা।

• ফিশিং এর মাধ্যমে প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লগইন/অ্যাকসেস তথ্যচুরি,বিশেষত ই-কমার্স,ই-ব্যাংকিং সাইটগুলো ফিশারিদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে।
ইউজার যে সকল সাইট সাধারণত ব্রাউজ করে সে সকল সাইটের হুবুহু ইন্টারফেস দেখিয়ে ইউজার কে বোকা বানিয়ে লগ ইন তথ্য সংগ্রহ করে ।

• অর্থ আত্মসাৎ -ইন্টারনেট থেকে তথ্যচুরি করে ব্যাংকের এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর একটি উদাহরণ। অনলাইন পেমেন্ট প্রদান কালে এসকল হ্যাকার রা উকি মেরে তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা করে। এবং যে স্কল সাইট থেকে মানুষ কেনাকাটা করে ঐ সকল ওয়েবসাইট এর ডাটা হ্যাক করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে টাকা চেঞ্জ করে ফেলে।

• আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে ফাঁকি দিতে ইদানিং ইন্টারনেট ব্যবহার করে মাদক ব্যবসার প্রবনতা বেড়েছে। মাদক পরিবহেনের অন্য ভিক্ষুক, ও নিম্নশ্রেণীর লোকদের কে ব্যবহার করে থাক।

• সদ্য প্রকাশিত গান ও সিনেমার MP বা Movie ফাইল ইন্টারনেটে শেয়ার করে চলচিত্র উন্নুতি অগ্রাযাত্রাকে ধ্বংশ করে দিয়ে হ্যাকাররা সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলতেছে। রাষ্টীয় বাধ্যবাধকতার কারনে এই হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

• ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিগুলোর মধ্যে ব্লগ ও ওয়েবসাইট থেকে কোন লেখা ও ফটোগ্রাফি সহজেই কপি-পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার প্রবনতা বেড়েছে সাইবার কমিউনিটিতে । এই সাইবার প্রবণতার মাধ্যমে মানুষের সৃজনশীলতার মান কমে যাচ্ছে।
কপিরাইট ও প্রাইভেসী পলিচির নিয়ম উপেক্ষা করে অনলাইনে আয়ের স্বপ্ন দেখছে।

• পর্ণগ্রাফি – পর্ণগ্রাফি ইন্টারনেটে ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে। নানান ধরণের ভয়ঙ্কর ওয়েবসাইট, গেমস ও অশালীন ও অসামাজিক ইন্টারন্টে আসক্তির কারণে বর্তমানে ইন্টারনেট আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপে রুপান্তিত হয়েছে।


• ব্যক্তিগত তথ্য-পরিচয়-ছবি চুরি ও ইন্টারনেটর অপব্যবহার বেড়েছে। নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে নানান ধরণের প্রতারণা দৈনন্দিন বেড়েই চলছে।


• হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ওয়েবসাইট হ্যাকিং ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। ইথিকাল হ্যাকিং এর কোর্স সহ নানান ধরণের হ্যাকিং শেখানো এখন বাংলাদেশে ও দেখা যায়। এবং এ সকল হ্যাকিং শিখে ভালো কাজের পরবর্তে খারাপ কাজেই ব্যবহার করেছে । নেই এর বিরুদ্ধে সরকারী বাধ্যবাধকতা ।


• ক্র্যাকিং: ক্র্যাকিং হলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার চুরি করে গোপনে অনলাইন ব্যাংক থেকে ডলার চুরি করা

বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত হোস্টিং প্রভাইডার কোম্পানি   www.satthost.com

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.