১০ টি পুষ্টিকর খাবার বাচ্চার উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে

জিনগত ব্যাপারগুলি বাদ দিলে, সঠিক পুষ্টিই হচ্ছে আপনার বাচ্চার লম্বা এবং স্বাস্থ্যবান হবার নিশ্চিত চাবিকাঠি।  সায়েন্টিস্ট আমেরিকান পত্রিকার মতে, মানুষের উচ্চতার তারতম্যের অন্তত ৪০% তার পুষ্টি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে।

জন্মগত কৃপায় লম্বা মানুষেরা অবশ্যই জীবনে অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন – গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘকায় ব্যক্তিরা সচরাচর বেশী সুখী ও সফল হন।  আপনি যদি চান যে আপনার বাচ্চারা  তাদের সম্ভাব্য উচ্চতার শিখরে পৌঁছাক, তাহলে তারা পছন্দ করবেই এমন কিছু মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে এখানে দেওয়া হল।

১) পূর্ণ সেদ্ধ ডিম

ইকুয়েডরে ৬-৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে এক সমীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেছেন, যে সব শিশুরা প্রতিদিন একটি করে ডিম খায় তাদের মধ্যে, যারা খায় না তাদের চাইতে বৃদ্ধি থেমে যাবার হার ৪৭% কম হয়।  এ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে দিনে একটি করে ডিম শিশুদের বৃদ্ধি প্রতিবন্ধকতার রাক্ষসকে দূরে রাখতে সক্ষম!

পূর্ণ-সেদ্ধ ডিমের বদলে আরও অনেক উপায়ে আপনার বাচ্চাদের ডিম খাওয়াতে পারেন।  কুসুম ওপরে। ভাজা, অর্ধ-সেদ্ধ, স্ক্র্যাম্বেল্ড, – আপনার খাদুল বাচ্চা প্রতিদিন ডিম খেতে কখনোই বিরক্ত হবে না।

২) সয়া বীনকার্ড

প্রোটিন-সমৃদ্ধ সয়াবীন একটি দারুণ উচ্চতা বৃদ্ধিকারী খাবার।  সায়েন্টিফিক আমেরিকান পত্রিকার মতে শিশুদের উচ্চতা বাড়াবার জন্য প্রোটিন হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী পুষ্টি।  এক বাটি ঠান্ডা সয়া বীনকার্ড গরম কালের বিকেলে আপনার শিশুকে তরতাজা করে দেবে।

৩। টুনা স্যান্ডউইচ

প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস হালকা টুনা, যা ধাতু পাত্রে রক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়।  এটি টোস্টে ছড়িয়ে দিলেই হয়ে যাবে একটি উচ্চাঙ্গের অথচ উপাদেয় খাবার।

৪) মিশ্র বাদাম

বাদাম, কুমড়ো বীচি, পেস্তা, চিনেবাদাম, কাজু, …… এই সব প্রোটিনে ভরপুর দানাগুলি দুটি ভোজনের মাঝে দেবার মতো বাহুল্য বর্জিত ও মুচমুচে হালকা খাদ্যবস্তু।  এগুলি নুন না দেওয়া লেবেলের নিলে তা আরও স্বাস্থ্যকর।

5) চিনাবাদাম মাখনের ক্র্যাকার

চিনেবাদানের মাখন প্রোটিনে ভরপুর, অবশ্য কেমনটা আপনি পাচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে।  প্যাকিং এর লেবেলে দেখে উচ্চ প্রোটিন পুষ্টিগুণ সম্পন্নটি কিনবেন, আর ক্র্যাকার, টোস্ট, এমনকি প্যানকেকের ওপরেও মাখিয়ে খেতে দিন।

৬) দই

ক্যালসিয়াম হাড়ের বৃদ্ধিতে সর্বাধিক সাহায্য করে – এটি আপনার বাচ্চাদের ক্রমবর্ধমান হাড়ের জন্য বিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ!  দই, বিশেষ করে গ্রিক দই, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ।

৭। তাজা নিংড়ানো কমলালেবুর রস

দুধ থেকেই যে যাবতীয় ক্যালসিয়াম পেতে হবে, তার মানে নেই — কমলালেবু থেকেও পেতে পারেন।  উপরি পাওনা হিসেবে এতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিও আছে, যেমন ভিটামিন ডি আর এ।  খোসা ছাড়িয়ে রস বার করুন কিংবা ক্যালসিয়াম যুক্ত এর প্যাকেট কিনুন।

৮। বুবুর চা-চা

গবেষণায় দেখা গেছে যে শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ সম্পূরকটি অত্যন্ত কার্যকর।  মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু ভিটামিন এ এর একটি শক্তিশালী উৎস, এবং আমাদের প্রিয় স্থানীয় ডেজার্টগুলিতে এটি পেতে পারেন।  ঐ সব হলুদ, কমলা এবং বেগুনী কিউবগুলি দিয়ে বাড়ীতে তৈরী খাবার সাজান.

৯। ছাগলের পনীর স্যান্ডউইচ

ছাগলের পনীর সবচেয়ে বেশী ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ পনীগুলির মধ্যে অন্যতম, যদিও চেডার এবং ক্যামেমবারট  কাছাকাছি আসে। আপনি রুটির ওপর এটি মাখিয়ে দিতে পারেন বা এর ঘন মিশ্রণে লাল টমেটো ুবিয়ে দিতে পারেন।

১০) আমে দুধে

সর্বত্র এই সুমিষ্ট ফলটি বাচ্চাদের প্রিয় – এটিতে প্রচুর ভিটামিন এ আছে!  ছাড়ানো ঠান্ডা আম আর সম পরিমাণ দুধ ব্লেন্ডারে চালিয়ে স্বাদিষ্ট এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রস্তুত করুন।

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.