সুস্থ থাকার অসাধারণ উপায় আকু থেরাপি চিকিৎসা। নিজে গ্রহণ করুন শেয়ার করে অন্যকে জানান।

মানব দেহ আল্লাহ তা’য়ালার এক আশ্চার্য সৃষ্টি। কারণ ইহা নিজেই ইহার যে কোনো সমস্যা প্রকাশ করে দেয়।  আকুপ্রেশার এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা দেহের এই সমস্যা গুলো কোনো রকম টেষ্ট ছাড়াই শনাক্ত করতে পারে।

পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন এই পদ্ধতিতে রোগের কোনো লক্ষন বা নাম জানার প্রয়োজন হয় না।  এমনকি রোগের পূর্ব ইতিহাসও বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হয় না। আমার নিকট অনেকেই বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে আসেন, আমি বলি ইহা আমি বুঝিও না আর ইহা আমার জানার প্রয়োজনও নাই।

কারন কোনো অঙ্গে সমস্যা হলেই এমনকি ইহা যদি শুরুর অবস্থাও হয় তবে ঐ অঙ্গের সাথে সম্পর্কিত হাতের তালু ও পায়ের তালুর সুইচ গুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং চাপ দিলে ব্যাথা অনুভূত হয়।  যেমন হার্টের কোনো সমস্যা হলে হার্টের সুইচে, লিভাবে কোনো সমস্যা হলে লিভারের সুইচে, কিডনীর সমস্যা হলে কিডনীর সুইচে ব্যাথা হবে, ইত্যাদি।

কোনো রকম ঔষধ ব্যবহার ছাড়াই এই সকল সমস্যা নিরাময় করা সম্ভব। পদ্ধতিটি এতই সহজ যে কোনো ব্যাক্তি (শিক্ষিত বা অশিক্ষিত) চিত্র দেখে নিজের চিকিৎসা নিজেই করে পারবে।  এমনকি কোনো কিছু না বুঝেও যদি হাতের তালু পায়ের তালুতে চাপ দেয় তাতেও অনেক রোগ নিরাময় হবে এবং সুস্থতা অনুভব করবে। আমি অনেকে এই রকম করতে দেখিয়েছি এবং তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

আকুপ্রেশার চিকিৎসার পদ্ধতি কী ঃ

আকুপ্রেশার শব্দটি আকুপাংচার থেকে এসেছে। ‘অ্যাকিউ’ শব্দের অর্থ সুঁচ এবং ‘পাংচার’ শব্দের অর্থ বিদ্ধ করা। শরীরের বিশেষ বিশেষ বিন্দুতে সুঁচ বিদ্ধ করে চিকিৎসা করার পদ্ধতি হল আকুপাংচার।  আকুপাংচারের েএই বিন্দুগুলো হাত-পায়ের আঙ্গুলের ডগা থেকে শুরু দকরে সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে।  এদের সংখ্যা প্রায় ৯০০। যে কোন আনাড়ী ব্যক্তির পক্ষে এই সকল বিন্দু নির্নয় করে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

আকুপ্রেশার হল শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় বৃদ্ধাঙ্গুলী অথবা অন্য কোন ভোঁতা বস্তুদ্বারা চাপ দিয়ে চিকিৎসা করা। আকুপ্রেশার এর অধিকাংশ বিন্দুগুলো বিন্দুগুলোর অবস্থান জানা এতই সহজ যে, কোন ব্যাক্তি এমনকি দশ বৎসরের শিশুও এই বিন্দুগুলোর অবস্থান জেনে প্রয়োগ করতে পারে।

আকুপ্রেশার কিভাবে কাজ করে ঃ

সুঁইচ বোর্ডের কোন সুঁইচ অন করলে যেমন ঐ সুঁইচ এর সাথে সংযুক্ত যন্ত্রে বিদ্যুৎ পৌঁছে যায় ঠিক তেমনিভাবে শরীরের  কোন অঙ্গের বিন্দুতে (সুঁইচ-এ) চাপ প্রয়োগ করলে সেখান থেকে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ঐ অঙ্গের মেরিডিয়ান রেখার সংযোগ বিন্দুতে আঘাত করে।

কোন কারণে যদি শরীরের কোন অঙ্গে বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয় তখন ঐ অঙ্গের সুঁইচে বার বার চাপ প্রয়োগ করলে ঐ সংযোগ বিন্দুতে জমা হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড বা কোন কোন বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে রক্তের মধ্যে চলে আসে। ফলে ঐ অঙ্গে বিদ্যুৎ প্রবাহ পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হয় এবং ধীরে ধীরে অঙ্গটি সুস্থ হয়ে উঠে। রক্ত থেকে এই বর্জ্য পদার্থ কিডনীর মাধ্যমে ছেঁকে প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে বের করে দেয়।

এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে বাংলা ওয়েব সাইটে ভিজিট করতে পারেন। 

ওয়েব সাইট ঠিকানা ঃ http://acutheraphy.com/

সম্পর্কিত পেজঃ পেয়ারার উপকারিতা

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.