ডোমেইন এবং হোস্টিং কি এবং ইতিকথা।

ডোমেইন কি

ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের নাম। ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের ঠিকানা, যে ঠিকানায় ওয়েবসাইট এক্সেস করা যাবে। মূলত ব্রাউজার যেকোনো ওয়েবসাইটে যেতে একটি ইউনিক আইপি এড্রেস ব্যাবহার করে। কিন্তু আইপি এড্রেস মনে রাখা কঠিন, তাই ডোমেইন ব্যাবহার করি।

ডোমেইন নেইম সম্পুর্ন ইউনিক হবে। একটা ডোমেইন কখনোই আরেকটা ডোমেইনের সাথে মিলবে না। তবে এক্সটেনশন আলাধা হতে পারে।

ডোমেইন এ সর্বনিম্ন ৩ টি অক্ষর থাকতে হবে আর সর্বোচ্চ ৬৩ টি অক্ষর থাকতে পারবে। শুধু ইংরেজি অক্ষর, ০-৯ পর্যন্ত সংখ্যা আর “-” (Hyphen) ডোমেইন এর ভিতর ব্যাবহার করা যাবে।

ডোমেইন এর অনেক রকম এক্সটেনশন থাকে, যেমন: .com, .net, .org
টপ লেভেল ডোমেইনঃ .com .net .org .info ইত্যাদি ডোমেইনকে টপ লেভেলডোমেইন বলা হয়।

বিশ্বের প্রথম ডোমেইন হচ্ছে symbolics.com । এটা Massachusetts computer company রেজিস্টার করেছিল Symbolics Inc. ১৫ মার্চ, ১৯৮৫ সালে।

ফ্রি ডোমেইন এক্সটেনশন : .tk, .ml, .ga, .cf, .gq
এই ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো আপনি রেজিস্টার করতে পারেন একদম বিনা মূল্যে। এর জন্যে আপনাকে সার্চ করতে হবে freenom লিখে।

হোস্টিং কি

প্রথমে বাসা তৈরির জন্য যে জায়গাটা আপনি কিনলেন সেটা হচ্ছে আপনার বাসার হোস্টিং । মানে আপনি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে আপনাকে আগে এরম একটা জায়গা ইন্টারনেট জগতে ক্রয় করে নিতে হবে । এই জাইগাটাই হবে আপনার ওয়েবসাইট এর হোস্টিং। আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি জমি/হোস্টিং কিনতে পারবেন ।

অবশ্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ওপর ভিত্তি করে হোস্টিং বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে।

উইন্ডোজ হোস্টিং (Windows Hosting):

যদি ওয়েব সাইট ASP (Active Server Page) Programming Language এবং Microsoft SQL Server ডেটাবেস ব্যবহার করে তৈরি হয়ে থাকে তবে windows server এ হোস্টিং করতে হয়।

লিনাক্স হোস্টিং(Linux Hosting):

যদি ওয়েব সাইটটি PHP (Hyper text Processor) Programming Language এবং My SQL Server ডেটাবেস ব্যবহার করে তৈরি হয়ে থাকে তবে Linux Hosting এ হোস্টিং করতে হবে। বাংলাদেশে লিনাক্স হোস্টিং জনপ্রিয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশে PHP Developer এর সংখ্যা অনেক বেশি।

বিনামূল্যে হোস্টিংঃ

বিশ্বজুড়ে বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান আছে যারা টাকার বিনিময় তাদের ওয়েব সার্ভারে কোন ওয়েব সাইটের জন্য পোয়োজনীয় স্পেস বা জায়গা ভাড়া দেয়।তবে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিনামূল্যে ওয়েব হোস্টিং সুবিধা প্রধান করে। তবে বিনামূল্যের ওযেব হোস্টিং এ অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। www.freeservers.com এই সাইটে বিনামুল্যে ওয়েব হোস্টিং সার্ভারের সন্ধান পাওয়া যাবে। এই ধরনের হোস্টিং এর সাধারণত ব্যান্ডউইডথ কম এবং ডোমেইন নেম থাকে না।

শেয়ারড হোস্টিংঃ

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ও প্রচলিত হোস্টিং হলো শেয়ারডহোস্টিং। এ ধরনের হোস্টিং এ ও ব্যান্ডউইডথ ও ডেটাবেস সীমিত হয়ে থাকে।

ডেডিকেটেড হোস্টিংঃ

ডেডিকেটেড হোস্টিং এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রয়োজন হয় এবং তুলনামুলক ভাবে ব্যয়বহুল।তবে এ ধরনের হোস্টিং এ সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। ডেডিকেটেড হোস্টিং সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-

  • ম্যানেজড হোস্টিংঃ এ ধরনের হোস্টিং এ খরচের পরিমান বেশি হয়। তবে এ ধরনের হোস্টিং প্রোভাইডারই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করে।
  • আন – ম্যানেজড হোস্টিংঃ এ ধরনের হোস্টিং এ খরচের পরিমান কম হয়। তবে এ ধরনের হোস্টিং ওয়েবসাইটের মালিকেরাই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করে।

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.