সয়াবিন তেলের উপকার ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন………

উপকারিতাঃ
  • – সয়াবিন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
  • – সয়াবিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের খনি। বিশেষ করে থায়ামিন, নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিড ও রিবোফ্লেভিন। এই ভিটামিন হার্ট ও লিভারের সক্রিয় কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • – ডালের চেয়েও বেশি প্রোটিন রয়েছে সয়াবিনে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে পাওয়া যায় ৪৩ গ্রাম প্রোটিন।
  • – সয়াবিনের প্রোটিনে সিস্টিন ও মিথিওনাইন ছাড়া বেশিরভাগ অত্যাবশ্যক অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না। ডিম, মাংস, ডেইরি প্রোডাক্টের মতো প্রাণিজ প্রোটিনের সমতুল্য প্রোটিনসমৃদ্ধ সয়াবিন।
  • – সয়াবিনে ফ্যাটের পরিমাণও কম। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে ফ্যাটের পরিমাণ ২০ গ্রাম।
  • – প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে রয়েছে ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
  • – ভিটামিন ই ও লেসিথিনের মতো ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সয়াবিন বার্ধক্যের গতি মন্থর করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
  • – সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে পাওয়া যায় ২৮০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ২৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭০৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। তাই সয়াবিন দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে। আয়রন রক্তের সুস্থতা বজায় রাখে।
  • – সয়াবিন ভালো করে সেদ্ধ করে খান। কারণ হজমে সাহায্যকারী এনজাইম ট্রিপসিনের কার্যকলাপ কিছুটা ব্যাহত করে সয়াবিন।
  • – ফাইবার সমৃদ্ধ সয়াবিন হার্টের জন্য খুব ভালো।
  • – বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের ডায়েটে সয়াবিন রাখুন যথেষ্ট পরিমাণে। পরবর্তীকালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে।
  • – সয়াবিন তেলে ক্ষতিকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনুপস্থিত।
  • – সয়া মিল্কে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম হলেও এর আইসোফ্ল্যাবনস (এক ধরনের প্ল্যান্ট হরমোন) শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের সমান কাজ করে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে। সয়া মিল্ক দিয়ে তৈরি খাবার ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিনের ভালো উত্‍স। সয়া মিল্কে গরুর দুধের সমমানের প্রোটিন রয়েছে। মিল্ক প্রোটিনে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন সয়া মিল্ক।
  • – সয়াবিন ফারমেন্ট করে সয়া সস তৈরি করা হয়। সয়া মিল্কের মতো সয়া সস উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়া সসে আইসোফ্ল্যাবনসের পরিমাণ ভাত্র ১.৬ মিলিগ্রাম এবং এতে লবণের পরিমাণও বেশি।
  • – সয়াবিনে উপস্থিত আইসোফ্ল্যাবনস মেনোপজের লক্ষণ যেমন হট ফ্লাশ, বেশি ঘাম ইত্যাদি কমাতে, প্রস্টেট ক্যান্সার, বড়দের অ্যাকনে সারাতে সাহায্য করে।
  • – প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন থেকে পাওয়া যায় ৪৩২ কিলোক্যালরি।
  • – টাইপ টু হাইপার কোলস্টেরোলমিয়ার রোগীরা লো লিপিড, লো কোলস্টেরল ডায়েট মেনে চলেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে তাদের ডায়েটে সয়াবিন রাখায় প্লাজমা কোলস্টেরলের পরিমাণ কমে গিয়েছে ২৩-২৫%।
  • – খাদ্যতালিকায় ডিমের অ্যালবুমিন বা দুধের ক্যাসিন থাকলে যত সহজে আয়রন শোষণ হয়, সয়াবিন থাকলে তত ভালোভাবে রক্তে আয়রন শোষিত হয় না। তাই সয়াবিনের সাথে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও রাখুন।
  • – ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সয়া স্পাউট উপকারী। সালাদ, স্যুপে খেতে পারেন। ময়দার পরিবর্তে সয়া ফ্লাওয়ার দিয়ে রুটি তৈরি করতে পারেন।

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.