চাল ধোয়া পানি ও ভাতের মাড়ের উপকারিতাঃ

একবার ভাত হয়ে গেলে, মাড়টা কি কখনো রেখে দিয়েছেন? সুতির জামা-কাপড়ে মাড় দেয়ার প্রয়োজনে, মাঝে মধ্যে কেউ ভাতের ফ্যান রেখে দিলেও, সাধারণত অপ্রয়োজনীয় ধরে নিয়ে ফেলেই দেন।

কিন্তু, জানেন কি ভাতের মাড় বা চাল ধোওয়া পানিতে রয়েছে ‘বিউটি সিক্রেট’? নানা ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ণ। শুধু ত্বক নয়, চুলের জন্যও যা উপকারী এগুলো।

চুল ভালো রাখে: চুলে শ্যাম্পু করার পর ভাতের মাড় দিয়ে মাথাটা ভালো করে ঘষে নিন। কয়েক মিনিট এ অবস্থায় রেখে দিয়ে, পানিতে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। কিছু দিনের মধ্যেই চুল হয়ে উঠবে মসৃণ, ঝলমলে। যাদের চুলের আগা ফেটে যাচ্ছে, তারাও উপকৃত হবেন।

ত্বকে জৌলুস আনে: যাদের ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছে, তারাও মুখে ভাতের মাড় মাখতে পারেন। প্রথমে উষ্ণ গরম পানিতে মুখে ধুয়ে নিন। তারপর তুলায় করে সারা মুখে ভাতের মাড় মাখুন। কিছুক্ষণ রেখে, মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের জৌলুস ফেরার পাশাপাশি ত্বক টানটানও হবে। তাই মুখের বলিরেখা ঠেকাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বকের জ্বালা ও প্রদাহের চিকিত্‍‌সায়: কিছুটা চাল টগবগ করে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানিটা একটা পাত্রে রেখে দিন। গায়ে বা শরীরের কোথাও র‌্যাশ বেরোলে, অন্তত ১৫ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। ফল পাবেন।

ব্রনেও কাজ দেয়: চালের পানি তুলোয় করে থুপে থুপে মুখে লাগালে, উপকার পাবেন।

এগজিমারও ওষুধ চালের পানি: যেখানে এগজিমা হয়েছে, চালের পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যত দিন না সম্পূর্ণ সারছে, লাগিয়ে যেতে হবে।

ডায়রিয়ার ওষুধ: ডায়রিয়ায় ভুগলে এক গ্লাস ভাতের মাড়ে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। চটপট পেট ঠিক হয়ে যাবে। ভাতের মাড়ে রয়েছে ৮টি জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড। পেশি পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট এনার্জির জোগান দেয়।

ফলে, এরপর ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে, কাজে লাগান। ফ্যান মাখতে অস্বস্তি বোধ করলে, কিছুটা চাল ধুয়ে অল্প ফুটিয়ে, সেই পানি ফ্রিজে ঠাণ্ডা করেও মাখতে পারেন। সমান উপকারী।

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.