পাইথন প্রোগ্রামিং টিউটোরিয়াল পর্ব-১। ৩০ দিন শিখবো একজন সফল প্রোগ্রামার হবো। বন্ধুকে শেয়ার করবো…

পাইথন প্রোগ্রামিং টিউটোরিয়ালঃ

পাইথন একটি শক্তিশালী হাই-লেভেল এবং অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। গুইডো ভ্যান রাসম এই প্রোগ্রামিং ভাষার স্রষ্টা।

এই প্রোগ্রামিং ভাষার গঠন(Syntax) শৈলী এবং ব্যবহার খুবই সহজ। ফলস্বরুপ,  আপনি যদি জীবনে এই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষায় একেবারে নতুন হয়ে থাকেন,  তাহলে পাইথনই হবে আপনার  জন্য উপযুক্ত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।

কিভাবে পাইথন প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করবেন, কেনই বা পাইথন শিখবেন এবং কোথায় থেকে শিখবেন  পাইথন টিউটোরিয়াল এর প্রথম পর্বে   তারই কিছু তুলনামূলক দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

পাইথন প্রোগ্রামিং পর্ব-১

শুরু করার পূর্বে চলুন পাইথন ভাষার সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিইঃ

পাইথন সাধরণ উদ্দেশে(general-purpose) ব্যবহৃত একটি শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সুতরাং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট(যেমন-Django এবং Bottle) থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক হিসাব-নিকাশ(যেমন-Orange, SymPy, NumPy) এবং এমনকি ডেস্কটপ গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসেও(যেমন-Pygame, Panda3D) পাইথনের ব্যপক ব্যবহার রয়েছে।

গঠন(Syntax) খুবই স্বচ্ছ এবং কোড এর দৈর্ঘ্যও ছোট হয়। ফলে পাইথন-এ কাজ করা আপনার কাছে কিছুটা মজাদার কৌতুকের মত মনে হবে। কেননা এটি আপনাকে কোডের গঠনের দিকে নজর না দিয়ে সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে সহায়তা করবে।

পাইথন ভাষার বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

  • এটি একটি সাধারণ ভাষা যা শেখা খুবই সহজ।
  • ফ্রি এবং ওপেনসোর্স
  • বহনযোগ্যতা(Portability) খুবই সাধারণ
  • সম্প্রসারণ এবং সংস্থাপনযোগ্য(Extensible and Embeddable)।
  • হাই-লেভেল এবং ইন্টারপ্রেটেড ভাষা
  • সাধারণ সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক বড় লাইব্রেরী
  • অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড(Object-oriented) ইত্যাদি।

পাইথন ভাষার ব্যবহারঃ

কম্পিউটার এর সকল ক্ষেত্রেই পাইথন এর পদচারণা সুদীপ্ত এবং এটার বিস্তৃতি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। নিম্নে পাইথন ভাষা প্রয়োগ এর কিছু ক্ষেত্র তুলে ধরা হলোঃ

  • ওয়েব এপ্লিকেশন(Web Application)
  •  বৈজ্ঞানিক এবং গাণিতিক হিসাব-নিকাশ(Scientific and Numeric Computing)
  •  সফটওয়্যার প্রটোটাইপ তৈরি
  • প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য উপযুক্ত ভাষা

পাইথন কেন শিখবেন?

পাইথন কেন শিখবেন কিংবা পাইথনকে কেন প্রথম ভাষা হিসাবে পছন্দ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর হিসাবে আমরা ৪টি কারণ নিম্নে তুলে ধরলামঃ

  • সহজ ও মার্জিত গঠন(সিনট্যাক্স)

    পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং মানেই মজা। পাইথন কোড যেমন লিখতে মজা তেমনি এটা পড়াও সহজ। এটার গঠন(syntax) কেন প্রাকৃতিক মনে হয়? চলুন নিচের উদাহরণটি দেখিঃ

     a = input()    
     b = input()    
     sum = a + b    
     print(sum)     

    আপনি যদি কখনো প্রোগ্রামিং নাও করে থাকেন তবুও উপরের উদাহরণ থেকে খুব সহজেই অনুমান করতে পারবেন যে, এই প্রোগ্রামটি দুটি সংখ্যা যোগ করে এবং যোগফল প্রিন্ট করে।

  •  মাত্রাতিরিক্ত কঠোর নয়
    • পাইথনে ভ্যারিয়েবলের টাইপ নির্ধারন(define) করতে হয় না এবং স্টেটমেন্ট(statement)-এর শেষে সেমিকোলনও(;) বাধ্যতামূলক নয়।

      পাইথন বরং আপনাকে প্রোগ্রাম অনুশীলনের দিকে জোর দেয়। ফলে নতুনদের জন্য প্রোগ্রামিং শেখা সহজতর হয়ে উঠে।

  • অর্থবহ(Expressiveness) ভাষা

    পাইথন আপনাকে অল্প কোড লিখেই বিভিন্ন কার্যকারিতা সম্পন্ন প্রোগ্রাম তৈরি করতে সহায়তা করবে। এখানে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস এবং স্মার্ট কম্পিউটার কম্পোনেটসহ ৫০০ লাইনের নিচে টিক-টাক-টো গেম -এর লিংক দেওয়া আছে। এটা শুধুমাত্র উদাহরণ এর জন্য দেওয়া হয়েছে। পাইথন দিয়ে আপনি কি করতে পারবেন তার আসল মজাটা পাবেন যদি আপনি এর মৌলিক বিষয়গুলো একবার জেনে নিতে পারেন।

  • বিশাল জনগোষ্ঠী এবং সমর্থন

    আপনাকে সহায়তা করার জন্য পাইথনের রয়েছে বিশাল জনগোষ্ঠী। এছাড়া অনলাইনে অনেক সক্রিয় ফোরামও আছে। সমস্যা সমাধানে যেগুলো খুবই সহায়ক। নিম্নে কিছু অনলাইন ফোরাম এর তালিকা দেওয়া হলোঃ

পরবর্তী পর্বে যা থাকছেঃ

আরও জানতে স্যাট একাডেমীর পাইথন টিউটোরিয়াল দেখুন।

You may also like...

2 Responses

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.