দেশের যুব সমাজের উদ্দেশ্যে স্যাট ফাউন্ডারের বাণী

আমার বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশেঃ

বন্ধুরা আমার জানা নেই বর্তমানে দেশে কত সংখ্যক শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে।

তবে এটা আমার কাছে দিনের আলোর মতই পরিষ্কার যে, এই সংখ্যা প্রায় চক্রবৃদ্ধিহারে দিন দিন বেড়েই চলেছে! 
এই দায় আপনি শুধু এক তরফা সরকারকে বা আপনি যে রাজনীতিক লিডারের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করেন তাকে বা এমনকি এক তরফা আমার প্রাণের জন্মভূমি এই দেশ বাংলাদেশকেও দিতে পারেন না।
কারন এর ৯৯% দায় আপনার।

আপনি রাজশাহী, চট্রগ্রাম, সিলেট ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিদ্যাপীঠে পড়াশুনা করেও আপনার মানসিক উন্নয়ন হয়না।

আপনারা (প্রায় ৯০) শিক্ষিত বেকার যুবকরা ২৫ বছর ধরে লালন করেন একটি স্বপ্নকে আর তা হলো একটি ভালো চাকরি পাওয়া, যা মানুষকে আধুনিক দাসে পরিনত করে।
এই চাকরিটা না পেলেই আপনি নির্লজ্জের মত আপনার দায় উপরোল্লিখিত ব্যাক্তিগনের উপর বর্তান।

আমার প্রশ্ন হলো আপনারা সবাই যদি চাকরিই খুঁজেন তাহলে এই চাকরির জন্য শুন্যপদের কারখানা কে/কারা সৃষ্টি করবে??

সরকারের একার পক্ষে কি এতগুলো পোস্ট ক্রিয়েট করা সম্ভব??
বা আপনি যে রাজনীতিক লিডারের নেতৃত্বে রাজনীতি করেন তার দ্বারা কি এতগুলো শুন্যপদ সৃষ্টি করা সম্ভব??

একবার বুকে হাত দিয়ে বলুনতো আপনি সামান্য একটা চাকরির জন্য আপনার গ্রামের আতি নেতা, পাতি নেতার পেছনে ঘুরে ঘুরে যে সময় নষ্ট করেছেন তার অর্ধেক সময় নষ্ট করে গ্রামের কয়েক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের বেকার সমস্যা দূরীকরণের ভালো কোনো উদ্যোগ নিলে সেই সময়ে আপনারা সফল হতে পারতেন কি না??

এটা করবেন ই বা কেন?? আপনার পাশের লোকটা আপনার মাধ্যমে আপনার সমমানের বা আপনার উপরে উঠে যায়। পাছে এই ভয়ে বস্তুত আপনাদের মধ্যে কোনো একতাই গড়ে উঠেনা।

আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন যদি আমরা শিক্ষিতরা শুন্যপদ সৃষ্টির পরিবর্তে এভাবে শুন্যপদের পেছনেই দৌড়াতে থাকি তাহলে কি আদৌ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের জন্য শুন্যপদ সৃষ্টি হবে??

উত্তর না!!

আমরা শিক্ষিতরা যদি এভাবেই চলতে থাকি তাহলে আমরা এবং আমাদের নতুন প্রজন্মসহ আমাদের প্রিয় জন্মভুমির ভবিষ্যৎ কোথায়??

আসুন শুন্যপদ সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের সরকারকে সহায়তা করি এবং নিজেদেরসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এবং দেশকে বাঁচাই।

দেশে শুন্যপদ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমার কিছু প্রস্তাবনা:

১. হিংসা দূর করা।
২. হীন মনোভাব দূর করা।
৩. কার্পন্যতা দুর করা।
৪. অহংকার দূর করা।
৫. আমি তার চেয়ে অনেক উপরে, আমার তার সাথে কিসের বন্ধুত্ব? এটা দূর করা।
৬. নতুন উদ্যোক্তাকে সহায়তা করা।
৭. নিজে উদ্যোগী হওয়া।
৮. মিথ্যা পরিহার করা।
৯. বন্ধু সুলভ হওয়া।
১০. একতাবদ্ধ হওয়া।
১১. সরকারের যেকোনো উদ্যোগে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
১২. নষ্ট নেতার ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে নিজেরা কয়েক বন্ধু একত্রিত হয়ে ভালো উদ্যোগ নিয়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে নতুন করে শুন্যপদের সৃষ্টি করা।

সবশেষে আবারো বলছি, আসুন আমরা একতাবদ্ধভাবে উদ্যোগী হয়ে নিজেকে উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিই!
(Azizur Rahman Aziz, Founder of SATT)

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.