শেয়ার হোস্টিং কি? সুবিধা অসুবিধাঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং কি?

শেয়ার্ড হোস্টিং  একধরনের ওয়েব হোস্টিং সেবা যেখানে অনেক গুলো ওয়েব সাইট একটি সার্ভারে কানেক্ট থাকে এবং প্রত্যেক ওয়েব সাইট একটি অন্যটির থেকে আলাদা আকারে থাকবে ।  হোস্টিং প্রোভাইডার তাদের সার্ভার থেকে আপনাকে প্যাকেজ আকারে কিছু যায়গা দিবে  , যেখানে আপনি আপনার ওয়েব সাইট হোস্ট করতে পারবেন । শেয়ার্ড হোস্টিং  এ  সীমাবদ্ধতা থাকবে , প্রোভাইডারের দেয়া প্যাকেজ অনুযায়ী আপনাকে সেবা নিতে হবে , প্রোভাইডারের দেয়া ফিচারই আপনাকে ইউজ করতে হবে ।

বিজনেস ওয়েবসাইট খুলতে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে হোস্টিং চয়েস করতে হবে।সাইটের হোস্টিং করার জন্য আপনার হাতে বিভিন্ন অপশন আছে যেমন ডেডিকেটেড হোস্টিং , ভিপিএস হোস্টিং কিংবা শেয়ারড হোস্টিং।শেয়ারড হোস্টিং ইউজ করলে আপনাকে আরো অনেক সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করতে হবে।

আর ডেডিকেটেড সার্ভার ইউজ করলে ওই সার্ভারে শুধু মাত্র আপনার সাইট থাকবে,অন্য কোনো সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করতে হবে না।আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস ডিসিশনের মতো হোস্টিং সার্ভার চয়েসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ আপনার একটি সিপ্যানেল আছে শেয়ার্ড হোস্টিং এর ঐ সার্ভারে আপনার ছাড়াও আরও ১০০ জনের সিপ্যানেল থাকতে পারে। তার মানে আপনি একই সার্ভার ১০০ জনের সাথে শেয়ার করছেন ।

কস্ট,রিসোর্স,সিকিউরিটি,স্ক্যালাবিলিটি প্রভৃতি সকল কিছু নির্ভর করবে আপনার ডিসিশনের উপর।নিচে শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যানের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধার লিস্ট দেওয়া হলো:

সুবিধাসমূহ:

এটি অনেক সাশ্রয়ী:
শেয়ার হোস্টিং এর কস্ট ডেডিকেটেড হোস্টিং এর চেয়ে তুলনায় অনেক কম।ক্ষেত্রবিশেষে,আপনার একটি সাইটের শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য মাসে $১.৫  থেকে $১০ ডলার কস্ট হবে।আপনার ওয়েবসাইটের ধরণ এবং ফিচারের উপর কস্ট নির্ভর করবে।অপরদিকে একই সুবিধার জন্য ডেডিকেটেড হোস্টিং এর জন্য আপনার কস্ট লাগবে প্রতি মাসে $৮০ থেকে $২৫০ এবং ভিপিএস সার্ভারে $১০ থেকে $৫০।শেয়ারড হোস্টিং অনেক বেশি সাশ্রয়ী কেননা হোস্টিং কস্ট সার্ভারের অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করা যায়।

এক্সপার্ট না হলেও চলবে:
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সার্ভার এডমিনিস্ট্রেশনে যদি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে শেয়ারড হোস্টিং হবে আপনার জন্য গ্রেট চয়েস।হোস্টিং প্রোভাইডাররা কাজগুলি করে দেবে তাই আপনার খুব বেশি টেকনিক্যাল নলেজ না থাকলেও চলবে।কিন্তু ডেডিকেটেড সার্ভারের ক্ষেত্রে হোস্টিং প্রোভাইডারদের হেল্পার জন্য এক্সট্রা পে করতে হবে।আবার নিজে থেকে করতে গেলে সেটিং আপ,এডমিনিস্ট্রেটিং এবং সার্ভার ম্যানেজিং এর মতো কাজগুলি আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

সার্ভার মেইনটেনেন্স অন্তর্ভুক্ত:
যখন আপনি শেয়ারড হোস্টিং ইউজ করবেন তখন সার্ভারের এডমিনিস্ট্রেশন এবং মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব সার্ভিস প্রোভাইডারের উপর ছেড়ে দিতে পারবেন।এছাড়া আপনি 24/7 যেসব টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাবেন সেগুলো হলো:

  • সাইট মনিটরিং
  • কোনো প্রবলেম হলে ইনস্ট্যান্ট এলার্ট
  • কোনো ইস্যুর সমস্যা হলে রিপেয়ারিং

এর ফলে আপনি সাইটের প্রবলেমের বিষয়ে চিন্তিত না হয়ে মার্কেটিং এবং কাস্টমার সার্ভিসের এসপেকটস এর প্রতি বেশি ফোকাস।করতে পারবেন।

ব্যান্ডউইথ এবং কাস্টমাইজেশন ইমপ্রুভ হবে:
বর্তমানে মার্কেটপ্লেস অনেক বেশি কমপিটিটিভ।এজন্য ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডাররা শেয়ারড হোস্টিং এর জন্য আরো বেটার অপশন অফার করছে।আপনি এখন শেয়ারড হোস্টিং এ পাবেন প্ল্যান এবং সেই সাথে ভালো কাস্টমাইজেশন অপশনস(cPanel,ডোমেইন এর নামে  ইমেইল একাউন্টস ইত্যাদি)এবং বেশি ব্যান্ডউইথ।শেয়ারড হোস্টিং এ আপনি পাবেন ২-৫জিবির এর বেশি স্টোরেজ যা ছোট থেকে মাঝারি ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ট। এটা ছোট বা মাঝারি ধরণের বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ঠ!

অসুবিধাসমূহ:

ডাউনটাইম:

আপনি যখন আপনার হোস্টিং প্ল্যান অন্য অনেক ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করবেন তখন আপনার রিসোর্স এর মধ্যে লিমিটেশন থাকবে। আপনার সাইট ওভার লোডেড  সমস্যায় পড়তে পারে যদি একই সময়ে অন্য সাইটের ডিমান্ড রেট বেশি থাকে। এর ফলে আপনার সাইট ডাউন করবে এবং ভিজিটরা সেই সময় আর আপনার সাইট ভিজিট করতে পারবে না! এছাড়া এমন হতে পারে যে, আপনি যে সাইটের সাথে সার্ভার শেয়ার করছেন সেই সাইটের ট্রাফিক বেশি হওয়ায় আপনার সাইট স্লো করছে। এটা অবশ্যই আপনার সাইটের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।তবে হোস্ট দ্যা ওয়েবসাইটের মত অনেক কোম্পানি এখন প্রত্যেক সিপ্যানের জন্য রিসোর্স লিমিট দিয়ে দেয়। যার জন্য অই লিমিট ক্রস হলে আপনার সাইট ডাউন থাকলেও অই সার্ভারের অন্য সাইট আপ থাকবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন সাইটের পেজ লোড হতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নিলে ৪০% ভিজিটর তখন ওই সাইট লিভ করে! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় গুগোল দেখেছ, সাইটের পেজ লোড হতে বেশি সময় নিলে ৭০% স্মার্টফোন ভিজিটর ওই সাইট লিভ করে!

লিমিটেড রিসোর্স :

বড় ওয়েবসাইট যাদের প্রতিমাসে প্রচুর ভিজিটর আসে এবং ডজন খানেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে প্রতিটি পেজে তাদের জন্য শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যান চয়েজ করা ভালো সিদ্ধান্ত নয়! আপনাকে আপনার রিসোর্সগুলোকে অন্য অনেক ওয়েবসাইট সাথে শেয়ার করতে হবে যার ফলে আপনাকে কিছু লিমিটেশন ফেইস করতে হবে। আপনি যদি আপনার এলোটের চেয়ে বেশি রিসোর্স ইউস করেন তখন আপনার হোস্ট অতিরিক্ত ফি আদায় করতে চাইবে! যা আপনার বিজনেস সাইট শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ের এক বিরাট ধাক্কা ।অর্থাৎ প্রোভাইডারের বেধে দেয়া স্পেস , ডাটা-ট্রান্সফার বা অন্যান্য ফিচারই আপনাকে ইউজ করতে হচ্ছে । এবং এই টোটাল সার্ভিস টা একটা মেইন সার্ভার থেকে আপনাকে প্রোভাইডারের দিচ্ছে । মনে করেন প্রোভাইডার এর  মেইন সার্ভারে মোট ৫০০ জিবি স্পেস আছে । সেখান থেকে ভার্চুয়াল সিস্টেমে ভাগ করে আপনাকে ১ জিবি দিচ্ছে ।

ডেডিকেটেট আইপি পাবেন নাঃ

নিজের ডোমেইন নেমের ক্ষেত্রে কোন ডেডিকেটেড আইপি পাবেন না, ফলে আপনার চাহিদা অনুসারে  যথার্থ সেবা  পাবেন না।

কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল দিতে  পারবেনে নাঃ

কোন সফটওয়্যার ইনস্টল দিতে পারবেন না (সার্ভারে) এছাড়া আরো সীমাবদ্ধতা আছে। হোস্ট সার্ভিস হোস্ট বিক্রি  করার সময় আপনাকে প্যাকেজ তথা সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে দিবে, তাই আপনি চাইলে ও  কোনো সফটওয়ার ইনস্টল করতে পারবেনে না।

প্রধান সার্ভারটির সিপিইউ এর ২৫ থেকে ৩০ ভাগ এর বেশি ব্যবহার করে ফেললে তাহলে নানান ধরেন সমস্যা শুরু হতে দেখবেন।

যখনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর গ্রাহক সময়াহার দেখা দিবে তখনি আপনার হোস্টিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি  আপনেকে ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে পরামর্শ  দিবে।

হোস্টিং নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন করে ফেলুন, আমাদের  ফেসবুকেঃ    www.sattacademy.com/sattbd

নিরাপত্তা:

আপনি সাইটের সিকিউরিটির ঝুঁকিতে থাকতে যদি শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যান ইউস করেন! কেননা আপনার সাইট অনেকগুলো ওয়েবসাইটের সাথে একই সার্ভারে থাকে! একই সার্ভারের কোন ওয়েবসাইট কোন এট্যাকের আন্ডারে পড়লে ওই সার্ভারের সকল ওয়েবসাইটগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই সার্ভারে অনেকগুলো ওয়েবসাইট থাকার কারণে হ্যাকিং এর আশাঙ্কা বেশি থাকে শেয়ারড হোস্টিং এ যা ডেডিকেটেড সার্ভারে সেই ঝুকি কম থাকে!

কাস্টমাইজড করার তেমন অপশন থাকে না:

শেয়ারড হোস্টিং আগে অনেক কাস্টমাইজড করার সুযোগ ছিলো যা বর্তমান প্রোভাইডররা দিচ্ছে  না। ডেডিকেটেড সার্ভারের তুলনায় শেয়ারড হোস্টিং এ সুযোগ সামান্যই! আপনার ইচ্ছে স্বাধীন কোন সফটওয়্যার ইউস করতে পারবেন না! শুধুমাত্র ওই সার্ভার বা ফায়ারওয়ালের সাথে কনফিগারেড করা এপ্লিকেশনগুলোই ইউস করতে পারবেন! আপনার ইচ্ছেমত এপ্লিকেশন ইউস করতে পারলে আপনাকে আর প্রোভাইডরের নির্দেশনা মাফিক চলতে হতো না! কিন্তু শেয়ারড হোস্টিং এ সুযোগ নেই। তবে আপনি যদি এ কন্ট্রোল নিজের হাতে নিতে চান তাহলে আপনাকে হোস্টিং চেঞ্জ করতে হবে।

আপনি যদি সবেমাত্র শুরু করেন, আপনার সাইটটি যদি ছোটখাটো বিজনেস সাইট হয় যার পেইজ সংখ্যা বেশি নয় এবং আপনার সাইটের মাসিক ভিজিটর ২০০০০০ বেশি নাহলে শেয়ারড হোস্টিং আপনার জন্যে যথেষ্ট।

এছাড়া আপনার সাইট যদি অনেক বড় হয়ে থাকে যেখানে অনেক কনটেন্ট আছে প্রতি পেইজে,মাসে ভিজিটরের সংখ্যা ২০০০০০ বেশি এবং আপনি যদি ১০০% স্ট্যাবিলিটি পেতে চান সার্ভারের ওপরে তাহলে আপনাকে হোস্টিং চেঞ্জ করতে হবে।

এছাড়া আপনার যদি কোন সাহায্যের দরকার হয় আপনার সাইটের হোস্টিং চয়েজের ব্যাপারে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমাদের  www.satthost.com টিম সবসময় আছে আপনার সাহায্যে। আমাদের ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায় info@sattit.com.

একটি শেয়ার্ড হোস্টিং এর প্যাকেজ  সাধারণত এরকম হয়ে থাকে। টাকার উপর ভিত্তি করে এর পরিমান  কম বেশি  হয়ে থাকে।

  • ১ জিবি ডিস্ক স্পেস
  • ২০ জিবি ব্যান্ডউইথ
  • ৫০ টি ইমেইল
  • ৫০ টি এডঅন ডোমেইন
  • ৫০ টি ডেটাবেস
  • আপটাইম গ্যারান্টি ৯৯.৯৯%
  • এবং আরো অনেক
আপনার ছোট একটি ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য আপনি হয়তো শেয়ার হোস্টিং খুজছেন। এখন আমরা শেয়ার হোস্টিং সম্পর্কে জানবো।

শেয়ার হোস্টিং এ সারভারের রিসোর্স যে যা পারে তা ব্যবহার করে। এখানে সিপিউ বা র‌্যাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাধারনত আলাদা ভাগ করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় না। তবে একটি লিমিট করা থাকে। বেশিভাগ প্রতিষ্ঠান শেয়ার সারভারে হোস্টিং স্প্যাস এবং ব্যান্ডউইথ নির্দিষ্ট করে দেয়। শেয়ার হোস্টিং এর দাম খুবই কম ও সহজ ব্যবস্থাপনায় চালানো যায়। কিন্তু কনটেন্ট এবং ভিজিটর একটু বেশি হলেই গতি স্লথ হয়ে যায়।

আপনি যখন সারভার ব্যবহার করছেন না তখন অন্যকেউ এই সারভার ব্যবহার করছে। এভাবে বেশ কম খরচেই শেয়ার হোস্টিং এর মাধ্যমে কম ভিজিটরের ওয়েবসাইটগুলো চলতে পারে।

এ ব্যাপারে কিছুদিন আগে  রাউট ৬   রেস্টুরেন্টে আমি আর তামজিদ খেতে  গেলাম, সেখানে আমাদের জন্য ৫০+ রকেমের বিভিন্ন খাবারের মেনু সাজানো আছে। আর সেখান থেকে যার যা দরকার তাই নিয়ে খেতে পারেন। জনপ্রতি মূল্য ৫০০ টাকা। এটাএকটা ব্যবসায়িক  টেকনিক  মেনুতে যা আছে তা নিশ্চয়ই সেই টাকার সমানুপাতে দাম। একজন লোক এত বেশি খেতে পারবে না যা খাবারের মূল্যকে অতিক্রম করে। আবার কেউ বেশি কেউ কম খেলেও সব মিলিয়ে দোকানদারের লাভই হবে।

একটি ওয়েবসাইট নিশ্চই খুব বেশি জায়গা ও ব্যান্ডউইথ খরচ করবে না সেটি চিন্তা করে শেয়ার হোস্টিং সার্ভিস প্লান তৈরী করা হয়।

আসুন এর একটু সহজ ভাবে  শেয়ার্ড হোস্টিং সম্পর্কে বুঝি

শেয়ারড হোস্টিং হচ্ছে সবচেয়ে সাধারন হোস্টিং সমাধান যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বল্প খরচ। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি এর ব্যয় কেন এত কম? কারন এই হোস্টিং এর সকল রিসোর্স (যেমন: অপারেটিং সিস্টেম, ডিস্ক স্পেস, ব্যান্ডউইথ ইত্যাদি) অন্যান্য অনেক ব্যবহারকারীদের সাথে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ শেয়ারড হোস্টিং একাধিক ব্যবহারকারীদেরকে তাদের তথ্যগুলি হোস্ট বা সংরক্ষণ করার অনুমতি দেয়।

একাধিক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কয়েক শত থেকে হাজার হাজার পর্যন্ত হয়। ধরুন আপনি যেই হোস্টিং প্রতিষ্ঠান থেকে হোস্টিং প্যাকেজ কিনেছেন সেইখানে আরো ১০০০ জন ব্যক্তি সেই একই ধরনের প্যাকেজটি ক্রয় করেছে, তাহলে আপনি সেই হোস্টিং সার্ভার এর ১/১০০০ ভাগ আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ পুরো খরচের ১০০০ ভাগের ১ ভাগ আপনার কাছ থেকে হোস্টিং প্রতিষ্ঠানটি নিচ্ছে।

এ কারনেই শেয়ারড হোস্টিং এর দাম এত কম হয়ে থাকে। শেয়ারড হোস্টিং ছোট যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য যথেষ্ট। তবে এটি ব্যবহার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সু্যোগ সুবিধার সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। যখন আপনার ওয়েবসাইট এবং গ্রাহকের পরিধি ও প্রসার বাড়তে থাকে, আপনি দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট ঠিক আগের মত আর ইউজার ফ্রেন্ডলি পাবেন না। আপনার ওয়েবসাইট হোস্টিং এর গোপনীয়তা না থাকার কারনে আপনি চাইলেও সর্বাধিক নিরাপত্তা দিতে পারছেন না যেহেতু সার্ভার প্রবেশ আপনার উপর নির্ভর নয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শেয়ারড হোস্টিং বাদ দিয়ে আপনাকে ভিপিএস বা ডেডিকেটেড হোস্টিং এ যেতে হবে।

বর্তমানে বিভিন্ন হোস্টিং প্রতিষ্ঠান তথ্য স্টোর করে রাখার জন্য হার্ডডিস্কের বদলে এসএসডি স্টোরেজ সেবা প্রদান করে থাকে। এর ফলে ওয়েবসাইটের পেইজ খুব দ্রুত লোড হয়। অবশ্য ভাল হোস্টিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে হোস্টিং করালে শেয়ারড হোস্টিং প্যাকেজে সর্বোচ্চ ৯৯.৯৯% আপটাইম, আনলিমিটেড ডিস্ক স্পেস (আসলে এক লক্ষ ফাইল পার হলে আর আপলোড করতে দেয়না), আনলিমিটেড ব্যান্ডওয়াইডথ, আনলিমিটেড ডেটাবেস এবং ফ্রি সিপ্যানেল (cPanel) সুবিধা গুলি পেতে পারেন।

আমরা ভাল হোস্টিং প্রভাইডারের কাছে আমাদের ওয়েবসাইট হোস্ট করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়া ও  বিস্তারিত ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কগুলো ভিজিট করতে পারেন।

হোস্টিং জগতে সবচেয়ে কম মুল্যে  SSD  হোস্টিং  দিচ্ছে   স্যাট হোস্ট

বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত হোস্টিং প্রভাইডার কোম্পানি   www.satthost.com   

সার্ভার কি?   

ওয়েব হোস্টিং- কি?

 ভিপিএস হোস্টিং- ভার্চুয়াল প্রাইভেট  সার্ভার কি?

ডেডিকেটেড সার্ভার কি?

 রিসেলার হোস্টিং  কি?

 ম্যানেজড ও আনম্যানেজড হোস্টিং?

 উইনডোজ এবং লিনাক্স হোস্টিং?

স্যাট একাডেমি ব্লগে পাবলিশ এর জন্য আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে আমাদের ই্মেইল করুন info@sattit.com

অথবা এখানে ক্লিক করে সরাসরি পোস্ট করুন। আপনার লেখা রিভিউ শেষে পাবলিশ করা হবে।

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.