সূরা আ’বাসা
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
عَبَسَ وَتَوَلَّى
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন।(সূরা আ’বাসা ৮০:১ )
أَن جَاءهُ الْأَعْمَى
কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল।(সূরা আ’বাসা ৮০:২ )
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّى
আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,(সূরা আ’বাসা ৮০:৩ )
أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكْرَى
অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত।(সূরা আ’বাসা ৮০:৪ )
أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَى
পরন্তু যে বেপরোয়া,(সূরা আ’বাসা ৮০:৫ )
فَأَنتَ لَهُ تَصَدَّى
আপনি তার চিন্তায় মশগুল।(সূরা আ’বাসা ৮০:৬ )
وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّى
সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই।(সূরা আ’বাসা ৮০:৭ )
وَأَمَّا مَن جَاءكَ يَسْعَى
যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো(সূরা আ’বাসা ৮০:৮ )
وَهُوَ يَخْشَى
এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে,(সূরা আ’বাসা ৮০:৯ )
فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّى
আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।(সূরা আ’বাসা ৮০:১০ )
كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।(সূরা আ’বাসা ৮০:১১ )
فَمَن شَاء ذَكَرَهُ
অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।(সূরা আ’বাসা ৮০:১২ )
فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
এটা লিখিত আছে সম্মানিত,(সূরা আ’বাসা ৮০:১৩ )
مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ
উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে,(সূরা আ’বাসা ৮০:১৪ )
بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
লিপিকারের হস্তে,(সূরা আ’বাসা ৮০:১৫ )
كِرَامٍ بَرَرَةٍ
যারা মহৎ, পূত চরিত্র।(সূরা আ’বাসা ৮০:১৬ )
قُتِلَ الْإِنسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ!(সূরা আ’বাসা ৮০:১৭ )
مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?(সূরা আ’বাসা ৮০:১৮ )
مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন।(সূরা আ’বাসা ৮০:১৯ )
ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন,(সূরা আ’বাসা ৮০:২০ )
ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।(সূরা আ’বাসা ৮০:২১ )
ثُمَّ إِذَا شَاء أَنشَرَهُ
এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।(সূরা আ’বাসা ৮০:২২ )
كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি।(সূরা আ’বাসা ৮০:২৩ )
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ إِلَى طَعَامِهِ
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক,(সূরা আ’বাসা ৮০:২৪ )
أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاء صَبًّا
আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি,(সূরা আ’বাসা ৮০:২৫ )
ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি,(সূরা আ’বাসা ৮০:২৬ )
فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য,(সূরা আ’বাসা ৮০:২৭ )
وَعِنَبًا وَقَضْبًا
আঙ্গুর, শাক-সব্জি,(সূরা আ’বাসা ৮০:২৮ )
وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
যয়তুন, খর্জূর,(সূরা আ’বাসা ৮০:২৯ )
وَحَدَائِقَ غُلْبًا
ঘন উদ্যান,(সূরা আ’বাসা ৮০:৩০ )
وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
ফল এবং ঘাস(সূরা আ’বাসা ৮০:৩১ )
مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে।(সূরা আ’বাসা ৮০:৩২ )
فَإِذَا جَاءتِ الصَّاخَّةُ
অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে,(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৩ )
يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে,(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৪ )
وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
তার মাতা, তার পিতা,(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৫ )
وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৬ )
لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৭ )
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল,(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৮ )
ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
সহাস্য ও প্রফুল্ল।(সূরা আ’বাসা ৮০:৩৯ )
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত।(সূরা আ’বাসা ৮০:৪০ )
تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে।(সূরা আ’বাসা ৮০:৪১ )
أُوْلَئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।(সূরা আ’বাসা ৮০:৪২ )