ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল - Wordpress Tutorial
ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(CMS)। যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই কোন ধরণের কোডিং করা ছাড়াই ডায়নামিক ওয়েবসাইট এবং ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
সুতরাং ওয়ার্ডপ্রেস হলো ওয়েবের জন্য একটি জনপ্রিয় ব্লগিং সিস্টেম এবং এটি ওয়েবসাইট এর back-end CMS ও কম্পোনেন্ট যা হতে ওয়েবসাইটকে আপডেট, কাস্টমাইজ এবং ম্যানেজ করা যায়।
আমাদের ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়ালে আমরা ব্যাসিক ওয়ার্ডপ্রেস যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল, সেটিং, কাস্টোমাইজিং ইত্যাদি-সহ ওয়ার্ডপ্রেস এর সকল ব্যাসিক বিষয়সমূহ তুলে ধরেছি এবং প্রতিক্ষেত্রেই আমরা উদাহরণ হিসাবে স্ক্রিনশট ব্যবহার করেছি যেন আপনার বুঝতে সহজ হয়।
Content Management System কি?
কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) হলো একটি কম্পউিটার(ওয়েব) প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কন্টেন্ট যেমন- লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি সম্পাদনা, প্রকাশনা ও পরিবর্তন করা হয়।
এই ধরণের সিস্টেমে সাধারণত আগেই কিছু প্রোসিডিউর বা ফাংশন লেখা থাকে যেগুলো পরিবর্তন করে যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। বিশাল ও জটিল কোড লেখার ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া সহজ করার জন্যই মূলত সিএমএস তৈরি করা হয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেস ছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় সিএমএস রয়েছে। যেমন- জুমলা, ড্রুপাল, ম্যাজেন্টা ইত্যাদি।
২০০৩ সালের ২৭শে মে ওয়ার্ডপ্রেস প্রথম প্রকাশিত হয় এবং ২০০৯ সালের অক্টোবরে ওপেন সোর্স হিসাবে ঘোষনা করা হয়।
বৈশিষ্ট্য
- ইউজার ম্যানেজমেন্টঃ এটা ইউজারের তথ্য ব্যবস্থাপনায় সম্মতি দেয়। যেমন- ইউজার এর ভূমিকা পরিবর্তন করে সাবস্ক্রাইবার, কন্ট্রিবিউটর, লেখক, সম্পাদক এবং প্রশাসক ইত্যাদিতে রুপান্তর করা যায়। এছাড়া ইউজার তৈরি ও ডিলেট এবং ইউজার এর তথ্য ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যায়। ইউজার ব্যবস্থাপনার প্রধান ভূমিকা হলো আথেন্টিকেশন।
- মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ মিডিয়া ফাইল এবং ফোল্ডার ব্যবস্থাপনার জন্য এটি একটি টুলস বা যন্ত্র যার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের মিডিয়া ফাইল আপলোড, সুসংগঠিত এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন।
- থিম সিস্টেমঃ এটা আপনাকে সাইট এর চেহারা এবং ক্রিয়াকলাপ পরিবর্তন এর সম্মতি দেয়। এছাড়া এটা ছবি, স্টাইল, টেমপ্লেট ফাইল এবং কাস্টম পেজ অন্তর্ভূক্ত করে।
- প্লাগইন এর মাধ্যমে বিস্তৃত করাঃ এতে রয়েছে অসংখ্য প্লাগইন যেগুলো ইউজার এর প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ফাংশন এবং বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ এটা বিভিন্ন search engine optimization (SEO) টুলস সরবরাহ করে যা সাধারন on-site SEO তৈরি করে।
- বহুভাষিকঃ এটা সমস্ত কন্টেন্টকে ইউজার এর পছন্দের ভাষায় অনুবাদ করার সম্মতি দেয়।
- ইম্পোর্টঃ এটা তথ্য ইম্পোর্ট করার সম্মতি দেয়। এটার মাধ্যমে কাস্টম ফাইল, পোস্ট, পেজ, ট্যাগ ইত্যাদি ইম্পোর্ট করা যায়।
সুবিধা
- এটা হলো ওপেন সোর্স প্লাটফরম এবং ফ্রিতে পাওয়া যায়।
- ইউজার তার প্রয়োজন অনুযায়ী সিএসএস ফাইলের কোড পরিবর্তন করে পেজের ডিজাইন পরিবর্তন করতে পারে।
- সহজে কাজ করার জন্য অনেক ফ্রি প্লাগইন এবং টেমপ্লেট পাওয়া যায়। ইউজার প্রয়োজন অনুযায়ী এই প্লাগইনসমূহ কাস্টোমাইজ করতে পারে।
- মিডিয়া ফাইল সহজে ও দ্রুত আপলোড করা যায়।
- ইউজার প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো কাস্টোমাইজ করতে পারে।
- এটার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ইউজার এর বিভিন্ন ভুমিকা(role) সেট করা যায়। যেমন- লেখক, এডিটর, কন্ট্রিবিউটর এবং এডমিন ইত্যাদি।
অসুবিধা
- বেশি বেশি প্লাগিন ব্যবহার করলে ওয়েবসাইট রান এবং লোড ধীর গতিসম্পন্ন হয়।
- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট পরিবর্তন করতে পিএইচপির জ্ঞান আবশ্যক।
- চলমান ব্রাউজার এবং মোবাইল ডিভাইসের সাথে আপ-টু-ডেট রাখার জন্য মাঝে মাঝে ওয়ার্ডপ্রেসকে আপডেট করার প্রয়োজন হয়। আপডেট করার সময় আগের ডেটাগুলো হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই আপডেট করার পূর্বে ওয়েব সাইটের একটি ব্যাকআপ কপি রাখা উচিৎ।
- গ্রাফিক ইমেজ এবং টেবিল পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে পড়ে।