এইচটিএমএল সিএসএস জাভাস্ক্রিপ্ট পিএইচপি ওয়ার্ডপ্রেস কোরআন
লগইন
×

আলকোরআন

সূরা_ফাতিহা সূরা_বাকারা সূরা_ইমরান সূরা_নিসা সূরা_মায়েদা সূরা_আন’য়াম সূরা_আরাফ সূরা_আনফাল সূরা_তাওবা সূরা_ইউনুস সূরা_হুদ সূরা_ইউসুফ সূরা_রা’দ সূরা_ইবরাহীম সূরা_হিজর সূরা_নাহল সূরা_বনী-ইসরাঈল সূরা_কা’হফ সূরা_মারঈয়াম সূরা_ত্বা-হা সূরা_আম্বিয়া সূরা_হাজ্জ্ব সূরা_মু’মিনুন সূরা_নুর সূরা_ফুরকান সূরা_শু’য়ারা সূরা_নাম’ল সূরা_কাসাস সূরা_আনকাবুত সূরা_রূম সূরা_লুকমান সূরা_সাজদা সূরা_আহযাব সূরা_সা’বা সূরা_ফাতির সূরা_ইয়া-সীন সূরা_সাফফাত সূরা_সা’দ সূরা_যুমার সূরা_মু’মিন সূরা_হা-মীম সূরা_শূরা সূরা_যূখরুফ সূরা_দুখান সূরা_যাসিয়া সূরা_আহক্বাফ সূরা_মুহাম্মাদ সূরা_ফাতাহ সূরা_হুজুরাত সূরা_ক্বাফ সূরা_যারিয়া’ত সূরা_তুর সূরা_নাজম সূরা_ক্বামার সূরা_আর-রহমান সূরা_ওয়াক্বিয়া সূরা_হাদীদ সূরা_মুজাদালাহ সূরা_হাশর সূরা_মুমতাহিনা সূরা_সফ সূরা_জুম’য়া সূরা_মুনাফিক্বুন সূরা_তাগাবুন সূরা_তালাক সূরা_তাহরীম সূরা_মুলক সূরা_কালাম সূরা_হাক্বকাহ সূরা_মা’য়ারিজ সূরা_নূহ সূরা_জ্বীন সূরা_মুযযাম্মিল সূরা_মুদ্দাসসির সূরা_কিয়ামা’ত সূরা_দা’হর সূরা_মুরসালাত সূরা_নাবা সূরা_নাজিয়াত সূরা_আ’বাসা সূরা_তাকভীর সূরা_ইনফিতার সূরা_মুতাফফিফীন সূরা_ইনশিকাক সূরা_বুরূজ সূরা_তারিক সূরা_আ’লা সূরা_গাশিয়াহ সূরা_ফা’জর সূরা_বা’লাদ সূরা_শামস সূরা_লাইল সূরা_দুহা সূরা_আলাম-নাশরাহ সূরা_তীন সূরা_আলাক সূরা_ক্বদর সূরা_বাইয়্যেনাহ সূরা_যিলযাল সূরা_আদিয়্যাত সূরা_ক্বারিয়া সূরা_তাকাসুর সূরা_আসর সূরা_হুমাযা সূরা_ফীল সূরা_কুরাইশ সূরা_মাউন সূরা_কাউসার সূরা_কাফিরূন সূরা_ন’সর সূরা_লাহাব সূরা_ইখলাস সূরা_ফালাক সূরা_নাস -->

 

সূরা মুনাফিক্বুন


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

إِذَا جَاءكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ
মুনাফিকরা আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। আল্লাহ জানেন যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:১ )


اتَّخَذُوا أَيْمَانَهُمْ جُنَّةً فَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّهُمْ سَاء مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
তারা তাদের শপথসমূহকে ঢালরূপে ব্যবহার করে। অতঃপর তারা আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে। তারা যা করছে, তা খুবই মন্দ।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:২ )


ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا فَطُبِعَ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَفْقَهُونَ
এটা এজন্য যে, তারা বিশ্বাস করার পর পুনরায় কাফের হয়েছে। ফলে তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। অতএব তারা বুঝে না।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৩ )


وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ وَإِن يَقُولُوا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ يَحْسَبُونَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ أَنَّى يُؤْفَكُونَ
আপনি যখন তাদেরকে দেখেন, তখন তাদের দেহাবয়ব আপনার কাছে প্রীতিকর মনে হয়। আর যদি তারা কথা বলে, তবে আপনি তাদের কথা শুনেন। তারা প্রাচীরে ঠেকানো কাঠসদৃশ্য। প্রত্যেক শোরগোলকে তারা নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হোন। ধ্বংস করুন আল্লাহ তাদেরকে। তারা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে ?(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৪ )


وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا يَسْتَغْفِرْ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ لَوَّوْا رُؤُوسَهُمْ وَرَأَيْتَهُمْ يَصُدُّونَ وَهُم مُّسْتَكْبِرُونَ
যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা এস, আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখেন যে, তারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৫ )


سَوَاء عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
আপনি তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন অথবা না করুন, উভয়ই সমান। আল্লাহ কখনও তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৬ )


هُمُ الَّذِينَ يَقُولُونَ لَا تُنفِقُوا عَلَى مَنْ عِندَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنفَضُّوا وَلِلَّهِ خَزَائِنُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَفْقَهُونَ
তারাই বলেঃ আল্লাহর রাসূলের সাহচর্যে যারা আছে তাদের জন্যে ব্যয় করো না। পরিণামে তারা আপনা-আপনি সরে যাবে। ভূ ও নভোমন্ডলের ধন-ভান্ডার আল্লাহরই কিন্তু মুনাফিকরা তা বোঝে না।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৭ )


يَقُولُونَ لَئِن رَّجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ
তারাই বলেঃ আমরা যদি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি তবে সেখান থেকে সবল অবশ্যই দুর্বলকে বহিস্কৃত করবে। শক্তি তো আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদেরই কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৮ )


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৯ )


وَأَنفِقُوا مِن مَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ الصَّالِحِينَ
আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:১০ )


وَلَن يُؤَخِّرَ اللَّهُ نَفْسًا إِذَا جَاء أَجَلُهَا وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।(সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:১১ )