সূরা সাফফাত
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
وَالصَّافَّاتِ صَفًّا
শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,(সূরা সাফফাত ৩৭:১ )
فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا
অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,(সূরা সাফফাত ৩৭:২ )
فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا
অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-(সূরা সাফফাত ৩৭:৩ )
إِنَّ إِلَهَكُمْ لَوَاحِدٌ
নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪ )
رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ
তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫ )
إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬ )
وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ
এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭ )
لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ
ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮ )
دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ
ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯ )
إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ
তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০ )
فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ
আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১ )
بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ
বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২ )
وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ
যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩ )
وَإِذَا رَأَوْا آيَةً يَسْتَسْخِرُونَ
তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪ )
وَقَالُوا إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ
এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫ )
أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬ )
أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭ )
قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ
বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৮ )
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ
বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৯ )
وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَذَا يَوْمُ الدِّينِ
এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।(সূরা সাফফাত ৩৭:২০ )
هَذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِي كُنتُمْ بِهِ تُكَذِّبُونَ
বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।(সূরা সাফফাত ৩৭:২১ )
احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ
একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।(সূরা সাফফাত ৩৭:২২ )
مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَى صِرَاطِ الْجَحِيمِ
আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,(সূরা সাফফাত ৩৭:২৩ )
وَقِفُوهُمْ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ
এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;(সূরা সাফফাত ৩৭:২৪ )
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ
তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?(সূরা সাফফাত ৩৭:২৫ )
بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ
বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।(সূরা সাফফাত ৩৭:২৬ )
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:২৭ )
قَالُوا إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ الْيَمِينِ
বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।(সূরা সাফফাত ৩৭:২৮ )
قَالُوا بَل لَّمْ تَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।(সূরা সাফফাত ৩৭:২৯ )
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَاغِينَ
এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩০ )
فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا إِنَّا لَذَائِقُونَ
আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩১ )
فَأَغْوَيْنَاكُمْ إِنَّا كُنَّا غَاوِينَ
আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩২ )
فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ
তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৩ )
إِنَّا كَذَلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৪ )
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৫ )
وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ
এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৬ )
بَلْ جَاء بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ
না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৭ )
إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيمِ
তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৮ )
وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৩৯ )
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪০ )
أُوْلَئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ
তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪১ )
فَوَاكِهُ وَهُم مُّكْرَمُونَ
ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪২ )
فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৩ )
عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ
মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৪ )
يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِن مَّعِينٍ
তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৫ )
بَيْضَاء لَذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ
সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৬ )
لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ
তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৭ )
وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৮ )
كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ
যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৪৯ )
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫০ )
قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٌ
তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫১ )
يَقُولُ أَئِنَّكَ لَمِنْ الْمُصَدِّقِينَ
সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:৫২ )
أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَدِينُونَ
আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৩ )
قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ
আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৪ )
فَاطَّلَعَ فَرَآهُ فِي سَوَاء الْجَحِيمِ
অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৫ )
قَالَ تَاللَّهِ إِنْ كِدتَّ لَتُرْدِينِ
সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৬ )
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّي لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ
আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৭ )
أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ
এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৮ )
إِلَّا مَوْتَتَنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।(সূরা সাফফাত ৩৭:৫৯ )
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬০ )
لِمِثْلِ هَذَا فَلْيَعْمَلْ الْعَامِلُونَ
এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬১ )
أَذَلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ
এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?(সূরা সাফফাত ৩৭:৬২ )
إِنَّا جَعَلْنَاهَا فِتْنَةً لِّلظَّالِمِينَ
আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৩ )
إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِي أَصْلِ الْجَحِيمِ
এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৪ )
طَلْعُهَا كَأَنَّهُ رُؤُوسُ الشَّيَاطِينِ
এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৫ )
فَإِنَّهُمْ لَآكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৬ )
ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ
তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৭ )
ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ
অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৮ )
إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءهُمْ ضَالِّينَ
তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।(সূরা সাফফাত ৩৭:৬৯ )
فَهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ
অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭০ )
وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الْأَوَّلِينَ
তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭১ )
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ
আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭২ )
فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنذَرِينَ
অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৩ )
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৪ )
وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ
আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৫ )
وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৬ )
وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمْ الْبَاقِينَ
এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৭ )
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৮ )
سَلَامٌ عَلَى نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ
বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।(সূরা সাফফাত ৩৭:৭৯ )
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮০ )
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮১ )
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮২ )
وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ
আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৩ )
إِذْ جَاء رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৪ )
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ
যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৫ )
أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ
তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৬ )
فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৭ )
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ
অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৮ )
فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ
এবং বললঃ আমি পীড়িত।(সূরা সাফফাত ৩৭:৮৯ )
فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ
অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯০ )
فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ
অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?(সূরা সাফফাত ৩৭:৯১ )
مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ
তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?(সূরা সাফফাত ৩৭:৯২ )
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ
অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৩ )
فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ
তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস ্ত পদে।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৪ )
قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ
সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৫ )
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ
অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৬ )
قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ
তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৭ )
فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ
তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৮ )
وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ
সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:৯৯ )
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০০ )
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০১ )
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০২ )
فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৩ )
وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৪ )
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৫ )
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاء الْمُبِينُ
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৬ )
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৭ )
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৮ )
سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।(সূরা সাফফাত ৩৭:১০৯ )
كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১০ )
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১১ )
وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ
আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১২ )
وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ مُبِينٌ
তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৩ )
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ
আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৪ )
وَنَجَّيْنَاهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৫ )
وَنَصَرْنَاهُمْ فَكَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৬ )
وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ
আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৭ )
وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৮ )
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْآخِرِينَ
আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:১১৯ )
سَلَامٌ عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ
মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২০ )
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২১ )
إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২২ )
وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنْ الْمُرْسَلِينَ
নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৩ )
إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৪ )
أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ
তোমরা কি বা'আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৫ )
وَاللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৬ )
فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৭ )
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
কিন্তু আল্লাহ তা'আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৮ )
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:১২৯ )
سَلَامٌ عَلَى إِلْ يَاسِينَ
ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩০ )
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩১ )
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩২ )
وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِينَ
নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৩ )
إِذْ نَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৪ )
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৫ )
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৬ )
وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ
তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৭ )
وَبِاللَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৮ )
وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৩৯ )
إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪০ )
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنْ الْمُدْحَضِينَ
অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪১ )
فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ
অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪২ )
فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنْ الْمُسَبِّحِينَ
যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৩ )
لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ
তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৪ )
فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاء وَهُوَ سَقِيمٌ
অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-ব িজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৫ )
وَأَنبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ
আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৬ )
وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِئَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ
এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৭ )
فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ
তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৮ )
فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ
এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তা ন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৪৯ )
أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ
না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫০ )
أَلَا إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ
জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫১ )
وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫২ )
أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ
তিনি কি পুত্র-সন্তা নের স্থলে কন্যা-সন্তা ন পছন্দ করেছেন?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৩ )
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৪ )
أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
তোমরা কি অনুধাবন কর না?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৫ )
أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُّبِينٌ
না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৬ )
فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৭ )
وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৮ )
سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ
তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৫৯ )
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬০ )
فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ
অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬১ )
مَا أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ
তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬২ )
إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ
শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৩ )
وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ
আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৪ )
وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ
এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৫ )
وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ
এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৬ )
وَإِنْ كَانُوا لَيَقُولُونَ
তারা তো বলতঃ(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৭ )
لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنْ الْأَوَّلِينَ
যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৮ )
لَكُنَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৬৯ )
فَكَفَرُوا بِهِ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭০ )
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ
আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭১ )
إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ
অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭২ )
وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৩ )
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ
অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৪ )
وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৫ )
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৬ )
فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَاء صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ
অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৭ )
وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ
আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৮ )
وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৭৯ )
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ
পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৮০ )
وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ
পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৮১ )
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।(সূরা সাফফাত ৩৭:১৮২ )