এইচটিএমএল সিএসএস জাভাস্ক্রিপ্ট পিএইচপি ওয়ার্ডপ্রেস কোরআন
লগইন
×

আলকোরআন

সূরা_ফাতিহা সূরা_বাকারা সূরা_ইমরান সূরা_নিসা সূরা_মায়েদা সূরা_আন’য়াম সূরা_আরাফ সূরা_আনফাল সূরা_তাওবা সূরা_ইউনুস সূরা_হুদ সূরা_ইউসুফ সূরা_রা’দ সূরা_ইবরাহীম সূরা_হিজর সূরা_নাহল সূরা_বনী-ইসরাঈল সূরা_কা’হফ সূরা_মারঈয়াম সূরা_ত্বা-হা সূরা_আম্বিয়া সূরা_হাজ্জ্ব সূরা_মু’মিনুন সূরা_নুর সূরা_ফুরকান সূরা_শু’য়ারা সূরা_নাম’ল সূরা_কাসাস সূরা_আনকাবুত সূরা_রূম সূরা_লুকমান সূরা_সাজদা সূরা_আহযাব সূরা_সা’বা সূরা_ফাতির সূরা_ইয়া-সীন সূরা_সাফফাত সূরা_সা’দ সূরা_যুমার সূরা_মু’মিন সূরা_হা-মীম সূরা_শূরা সূরা_যূখরুফ সূরা_দুখান সূরা_যাসিয়া সূরা_আহক্বাফ সূরা_মুহাম্মাদ সূরা_ফাতাহ সূরা_হুজুরাত সূরা_ক্বাফ সূরা_যারিয়া’ত সূরা_তুর সূরা_নাজম সূরা_ক্বামার সূরা_আর-রহমান সূরা_ওয়াক্বিয়া সূরা_হাদীদ সূরা_মুজাদালাহ সূরা_হাশর সূরা_মুমতাহিনা সূরা_সফ সূরা_জুম’য়া সূরা_মুনাফিক্বুন সূরা_তাগাবুন সূরা_তালাক সূরা_তাহরীম সূরা_মুলক সূরা_কালাম সূরা_হাক্বকাহ সূরা_মা’য়ারিজ সূরা_নূহ সূরা_জ্বীন সূরা_মুযযাম্মিল সূরা_মুদ্দাসসির সূরা_কিয়ামা’ত সূরা_দা’হর সূরা_মুরসালাত সূরা_নাবা সূরা_নাজিয়াত সূরা_আ’বাসা সূরা_তাকভীর সূরা_ইনফিতার সূরা_মুতাফফিফীন সূরা_ইনশিকাক সূরা_বুরূজ সূরা_তারিক সূরা_আ’লা সূরা_গাশিয়াহ সূরা_ফা’জর সূরা_বা’লাদ সূরা_শামস সূরা_লাইল সূরা_দুহা সূরা_আলাম-নাশরাহ সূরা_তীন সূরা_আলাক সূরা_ক্বদর সূরা_বাইয়্যেনাহ সূরা_যিলযাল সূরা_আদিয়্যাত সূরা_ক্বারিয়া সূরা_তাকাসুর সূরা_আসর সূরা_হুমাযা সূরা_ফীল সূরা_কুরাইশ সূরা_মাউন সূরা_কাউসার সূরা_কাফিরূন সূরা_ন’সর সূরা_লাহাব সূরা_ইখলাস সূরা_ফালাক সূরা_নাস -->

 

সূরা ওয়াক্বিয়া


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ
যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১ )


لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ
যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২ )


خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ
এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩ )


إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا
যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪ )


وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا
এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫ )


فَكَانَتْ هَبَاء مُّنبَثًّا
অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬ )


وَكُنتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً
এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭ )


فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ
যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮ )


وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ
এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯ )


وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ
অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১০ )


أُوْلَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ
তারাই নৈকট্যশীল,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১১ )


فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
অবদানের উদ্যানসমূহে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১২ )


ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ
তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৩ )


وَقَلِيلٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৪ )


عَلَى سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ
স্বর্ণ খচিত সিংহাসন।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৫ )


مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ
তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৬ )


يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ
তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৭ )


بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ
পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৮ )


لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ
যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:১৯ )


وَفَاكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ
আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২০ )


وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ
এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২১ )


وَحُورٌ عِينٌ
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২২ )


كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ
আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৩ )


جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৪ )


لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا
তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৫ )


إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا
কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৬ )


وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ
যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৭ )


فِي سِدْرٍ مَّخْضُودٍ
তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৮ )


وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ
এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:২৯ )


وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ
এবং দীর্ঘ ছায়ায়।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩০ )


وَمَاء مَّسْكُوبٍ
এবং প্রবাহিত পানিতে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩১ )


وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ
ও প্রচুর ফল-মূলে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩২ )


لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ
যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৩ )


وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ
আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৪ )


إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৫ )


فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৬ )


عُرُبًا أَتْرَابًا
কামিনী, সমবয়স্কা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৭ )


لِّأَصْحَابِ الْيَمِينِ
ডান দিকের লোকদের জন্যে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৮ )


ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ
তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৩৯ )


وَثُلَّةٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪০ )


وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ
বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪১ )


فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ
তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪২ )


وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ
এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৩ )


لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ
যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৪ )


إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ
তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৫ )


وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنثِ الْعَظِيمِ
তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৬ )


وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৭ )


أَوَ آبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও!(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৮ )


قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ
বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৪৯ )


لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫০ )


ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ
অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫১ )


لَآكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ
তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫২ )


فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৩ )


فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ
অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৪ )


فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ
পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৫ )


هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ
কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৬ )


نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৭ )


أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ
তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৮ )


أَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ
তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৯ )


نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬০ )


عَلَى أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ
এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬১ )


وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذكَّرُونَ
তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬২ )


أَفَرَأَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ
তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৩ )


أَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ
তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৪ )


لَوْ نَشَاء لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৫ )


إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৬ )


بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৭ )


أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاء الَّذِي تَشْرَبُونَ
তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৮ )


أَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنزِلُونَ
তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৬৯ )


لَوْ نَشَاء جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ
আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭০ )


أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ
তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭১ )


أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِؤُونَ
তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭২ )


نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ
আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৩ )


فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৪ )


فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৫ )


وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৬ )


إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৭ )


فِي كِتَابٍ مَّكْنُونٍ
যা আছে এক গোপন কিতাবে,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৮ )


لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৭৯ )


تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ
এটা বিশ্ব-পালনক র্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮০ )


أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ
তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮১ )


وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ
এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮২ )


فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ
অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৩ )


وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ
এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৪ )


وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَكِن لَّا تُبْصِرُونَ
তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৫ )


فَلَوْلَا إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ
যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৬ )


تَرْجِعُونَهَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৭ )


فَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ
যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়;(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৮ )


فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ
তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৮৯ )


وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯০ )


فَسَلَامٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯১ )


وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ
আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯২ )


فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ
তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯৩ )


وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ
এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯৪ )


إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ
এটা ধ্রুব সত্য।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯৫ )


فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।(সূরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৯৬ )