সূরা মা’য়ারিজ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
سَأَلَ سَائِلٌ بِعَذَابٍ وَاقِعٍ
একব্যক্তি চাইল, সেই আযাব সংঘটিত হোক যা অবধারিত-(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১ )
لِّلْكَافِرينَ لَيْسَ لَهُ دَافِعٌ
কাফেরদের জন্যে, যার প্রতিরোধকারী কেউ নেই।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২ )
مِّنَ اللَّهِ ذِي الْمَعَارِجِ
তা আসবে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে, যিনি সমুন্নত মর্তবার অধিকারী।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩ )
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা'আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৪ )
فَاصْبِرْ صَبْرًا جَمِيلًا
অতএব, আপনি উত্তম সবর করুন।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৫ )
إِنَّهُمْ يَرَوْنَهُ بَعِيدًا
তারা এই আযাবকে সুদূরপরাহত মনে করে,(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৬ )
وَنَرَاهُ قَرِيبًا
আর আমি একে আসন্ন দেখছি।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৭ )
يَوْمَ تَكُونُ السَّمَاء كَالْمُهْلِ
সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৮ )
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ
এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত,(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৯ )
وَلَا يَسْأَلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا
বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১০ )
يُبَصَّرُونَهُمْ يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ
যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ত তিকে,(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১১ )
وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ
তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে,(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১২ )
وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي تُؤْويهِ
তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৩ )
وَمَن فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ
এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৪ )
كَلَّا إِنَّهَا لَظَى
কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৫ )
نَزَّاعَةً لِّلشَّوَى
যা চামড়া তুলে দিবে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৬ )
تَدْعُو مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّى
সে সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমুখ হয়েছিল।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৭ )
وَجَمَعَ فَأَوْعَى
সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছিল, অতঃপর আগলিয়ে রেখেছিল।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৮ )
إِنَّ الْإِنسَانَ خُلِقَ هَلُوعًا
মানুষ তো সৃজিত হয়েছে ভীরুরূপে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:১৯ )
إِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوعًا
যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২০ )
وَإِذَا مَسَّهُ الْخَيْرُ مَنُوعًا
আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২১ )
إِلَّا الْمُصَلِّينَ
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায় কারী।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২২ )
الَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ
যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৩ )
وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ
এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৪ )
لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ
যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৫ )
وَالَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ
এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৬ )
وَالَّذِينَ هُم مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِم مُّشْفِقُونَ
এবং যারা তাদের পালনকর্তার শাস্তির সম্পর্কে ভীত-কম্পিত।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৭ )
إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَيْرُ مَأْمُونٍ
নিশ্চয় তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্কা থাকা যায় না।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৮ )
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:২৯ )
إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩০ )
فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ
অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩১ )
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩২ )
وَالَّذِينَ هُم بِشَهَادَاتِهِمْ قَائِمُونَ
এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাব ান(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৩ )
وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ
এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান,(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৪ )
أُوْلَئِكَ فِي جَنَّاتٍ مُّكْرَمُونَ
তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৫ )
فَمَالِ الَّذِينَ كَفَرُوا قِبَلَكَ مُهْطِعِينَ
অতএব, কাফেরদের কি হল যে, তারা আপনার দিকে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে আসছে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৬ )
عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ عِزِينَ
ডান ও বামদিক থেকে দলে দলে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৭ )
أَيَطْمَعُ كُلُّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٍ
তাদের প্রত্যেকেই কি আশা করে যে, তাকে নেয়ামতের জান্নাতে দাখিল করা হবে?(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৮ )
كَلَّا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّمَّا يَعْلَمُونَ
কখনই নয়, আমি তাদেরকে এমন বস্তু দ্বারা সৃষ্টি করেছি, যা তারা জানে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৩৯ )
فَلَا أُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ إِنَّا لَقَادِرُونَ
আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয়ই আমি সক্ষম!(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৪০ )
عَلَى أَن نُّبَدِّلَ خَيْرًا مِّنْهُمْ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
তাদের পরিবর্তে উৎকৃষ্টতর মানুষ সৃষ্টি করতে এবং এটা আমার সাধ্যের অতীত নয়।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৪১ )
فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا وَيَلْعَبُوا حَتَّى يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي يُوعَدُونَ
অতএব, আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা বাকবিতন্ডা ও ক্রীড়া-কৌত ুক করুক সেই দিবসের সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত, যে দিবসের ওয়াদা তাদের সাথে করা হচ্ছে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৪২ )
يَوْمَ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلَى نُصُبٍ يُوفِضُونَ
সে দিন তারা কবর থেকে দ্রুতবেগে বের হবে, যেন তারা কোন এক লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৪৩ )
خَاشِعَةً أَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَانُوا يُوعَدُونَ
তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত; তারা হবে হীনতাগ্রস্ত। এটাই সেইদিন, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হত।(সূরা মা’য়ারিজ ৭০:৪৪ )